ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় কালবৈশাখীর তান্ডবে বিদ্যুৎ সরবরাহ
ব্যব¯’া লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে। ভেঙে গেছে পল্লী বিদ্যুতের পাঁচটি খুঁটি ও বেশ
কিছু ট্রান্সমিটার। চার শতাধিক সংযোগ লাইন ও দুই শতাধিক মিটার
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক গাছ সঞ্চালন লাইনের ওপর পড়ায় বিদ্যুতের এ বিপর্যয়
অব¯’া সৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ে উপজেলায় প্রায় ৪০টির মতো বসতঘর, দোকানপাট ও
হাঁস-মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার ১৩০টি গ্রামের প্রায় ৭০
হাজার গ্রাহক অন্ধকারে রয়েছেন।
কালবৈশাখী ঝড়টি রোববার সন্ধ্যায় শুরু হয়ে থেমে থেমে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে।
বিশেষ করে উপজেলা সদর ইউনিয়ন, নাসিরপুর, দাতমন্ডল, ধনকুড়া, কুলিকুন্ডা ও
মন্নরপুর এলাকায় বেশি আঘাত হেনেছে।
এসব গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় ঝড়ে টিনসেড ঘরের চালা প্রায়
দুই কিলোমিটার দূরে উড়ে গেছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি গ্রামের গাছপালা
ভেঙে বিদ্যুতের তারের ওপর ঝুলে আছে। কিছু কিছু এলাকায় কয়েকটি শতবর্ষী
কৃষ্ণচুড়া গাছের গোড়া ওপড়ে গেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগরে
কালবৈশাখী ঝড়ে সদরে ৯টি, কুলিকুন্ডা ৩টি, দাতমন্ডল ১০টি, নাসিরপুর ৫টি,
ধনকুড়া ৪টি মন্নরপুর গ্রামে ৮-১০টি ও বুড়িশ্বর গ্রামে ৩টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে বড়ঘাট এলাকায় পল্লী
বিদ্যুতের ৩৩ কেবি লাইনের ৫টি খুঁটি ভেঙে বিদ্যুতের তারসহ মাটিতে পড়ে
রয়েছে। অনেক গাছ বিদ্যুতের তারের ওপর পড়ে পুরো উপজেলার বিদ্যুৎ সংযোগ
বি”িছন্ন রয়েছে। সকাল থেকে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন সড়ক থেকে বিদ্যুতের
খুঁটি ও তার অপসারণের কাজ শুরু করেছে।
নাসিরপুর গ্রামের মনা ঘোসাই বলেন, আমার পাকের ও গরুর দুটি ঘরের টিনের
ঘরপড়ে গেছে।
আশুরাইল গ্রামের সুমন রাজা জানায়,ঝড়র আশুরাইল নদীর পারের কাউছার ও মজনু
মিয়ার দুটি ঘর পড়ে গেছে।
নাসিরনগর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জোনাল ম্যানেজার প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন
বলেন, ঝড়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক জায়গায় বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে। বেশকিছু খুঁটি ও মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা জেলা অফিসে
যোগাযোগের পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে খুঁটি মেরামতের কাজ করছি।
ঝড়ে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিকল্প পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ
সরবারহের চেষ্টা করা হলেও সে লাইনটি কাজ করছে না। ফলে রাত থেকে বিদ্যুৎ
পা”েছন না গ্রাহকরা
মোঃ আব্দুল হান্নান
নাসিরনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।