গ্রুপ পর্বে নিজেদের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্ব নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে টাইগারদের সুপার এইট নির্ধরণী সেই ম্যাচটি শুরু হবে সোমবার অর্থাৎ বাংলাদেশে ঈদুল আজহার দিন ভোর সাড়ে ৫ টায়।
শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ১১৪ রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ রানের হেরে যায় টাইগাররা। প্রোটিয়াদের কাছে মাত্র ৪ রানের হারে হৃদয় ভাঙ্গলেও বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরেনি। তৃতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ২৫ রানে হারায় টাইগাররা। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে থেকে সুপার এইটে খেলার দৌড়ে টিকে আছে বাংলাদেশ।
সুপার এইটে খেলতে হলে বাংলাদেশের সামনে সহজ সমীকরণ হলো- শেষ ম্যাচে নেপালকে হারাতে হবে। অথবা অন্তত ১টি পয়েন্ট পেলেই এই গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার এইটে খেলবে টাইগাররা।
আর যদি নেপালের কাছে হেরে যায়, তাহলে এই গ্রুপে নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। ঐ ম্যাচে ডাচরা জিতলে, বাংলাদেশের সমান ৪ পয়েন্ট হবে নেদারল্যান্ডসের। তখন রান রেট বিবেচনা করা হবে। বর্তমানে নেদারল্যান্ডসের চেয়ে রান রেটে বেশ এগিয়ে বাংলাদেশ। এখন বাংলাদেশের রান রেট ০.৪৭৮ এবং নেদারল্যান্ডসের রান রেট -০.৪০৮। তাই নেপালের কাছে হারলেও ব্যবধানটা যেন বড় না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বাংলাদেশকে।
২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপেই সুপার এইটে উঠেছিলো বাংলাদেশ। এরপর আর কোন আসরেই প্রথম রাউন্ডের বাঁধা টপকাতে পারেনি টাইগাররা। দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপের সুপার এইটে খেলার সুর্বন সুযোগ এখন বাংলাদেশের সামনে।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের প্রথম আসরে জয় দিয়ে আসর শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিলো টাইগাররা।
ঈদের দিন নেপালের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ নিয়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চান দলের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৪৬ বলে ম্যাচ জয়ী অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস খেলা সাকিব বলেন, ‘নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। জিতলেই আমরা দ্বিতীয় রাউন্ডে । আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন হবে। স্বাভাবিকভাবেই আমরা মুখিয়ে আছি সামনের ম্যাচের জন্য। আশা করি, ঈদের দিনে আমরা মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারবো।’
নেদারল্যান্ডসের কাছে ৬ উইকেটে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করে নেপাল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের পরের ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যায়। তবে তৃতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত লড়াইয়ের পর মাত্র ১ রানে হেরে যায় নেপাল। ৩ ম্যাচ খেলে এখনও জয়ের স্বাদ না পাওয়া নেপাল শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করতে চায়। নেপালের অধিনায়ক রোহিত পাউডেল বলেন, ‘এবারের বিশ্বকাপে আমরা এখন পর্যন্ত ভালো খেলতে পারিনি। তবে শেষ ম্যাচটা জয়ে দিয়ে শেষ করতে চাই। বাংলাদেশ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। সুপার এইট নিশ্চিত করতেই জয়ের জন্য মরিয়া থাকবে তারা। তবে আমরা শেষ ম্যাচে নিজেদের সেরা পারফরমেন্স দেখাতে মুখিয়ে আছি।’
এখন পর্যন্ত একবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-নেপাল। সেটি ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। প্রথম রাউন্ডে গ্রুপ ‘এ’র ম্যাচে নেপালকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছিলো টাইগাররা।