টানা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রুশ আগ্রাসন বন্ধের কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং এই পরিস্থিতিতে অনেকেই পারমাণবিক সংঘাতের আশঙ্কাও প্রকাশ করছেন।
এর মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুংকার দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনের বিপক্ষে যুদ্ধে জয়ী হতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। তবে রুশ সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়লে এই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে। খবর রয়টার্সের।
সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে পামাণবিক অস্ত্র ব্যবহার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট পুতিন এসব কথা বলেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কেবল দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য হুমকির ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যেতে পারে। আমি মনে করি না, এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি এখনও হয়েছে। এমন অস্ত্র ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই।
গোলাবারুদ-সাঁজোয়া যান নিয়ে ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনারা। শুক্রবার কিয়েভের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র ভাণ্ডারে হামলা চালানোর দাবি করে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়াও ইউক্রেনীয় বাহিনীর বেশ কিছু ড্রোন ও বিমান হামলা প্রতিহতের দাবি করেছে ক্রেমলিন।
হামলার ঘটনায় ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, রাশিয়ায় ইউক্রেনের পাল্টা হামলা চালানোর অধিকার রয়েছে। তবে ইউক্রেনকে সমর্থনের কথা থাকলেও কিয়েভে আপাতত কোনো সেনা মোতায়েন করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ন্যাটো মহাসচিবের বক্তব্যের পর ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেত্তেরি অর্পো বলেন, ইউক্রেনে তার দেশ থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সেনা মোতায়েন করা হবে না। এছাড়া হাঙ্গেরিও জানিয়ে দিয়েছে তারাও ইউক্রেনে সৈন্য পাঠাবে না।
রাশিয়া আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, ইউক্রেনে সেনা পাঠালে ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষ অনিবার্য হবে। এরই জেরে হয়তো দেশগুলো পিছপা হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।