গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদ: মার্কিন অধ্যাপককে মাটিতে ফেলে হ্যান্ডকাফ পরালো পুলিশ

Spread the love

নিউজ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গাজা যুদ্ধবিরোধী ফিলিস্তিনপন্থি প্রতিবাদ আরও জোরদার হওয়ার মধ্যে এক মার্কিন অধ্যাপক পুলিশ কর্তৃক লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। এই নারী অধ্যাপককে মাটিতে উপুড় করে ফেলে তার হাত পিছমোড়া করে হ্যান্ডকাফ পরিয়েছে পুলিশ।

সিএনএনের সাংবাদিকদের রেকর্ড করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে, আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি প্রতিবাদ চলার সময় পুলিশ কর্মকর্তারা এক বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীকে মাটিতে ফেলে জোরজবরদস্তি গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করছে, এ সময় ওই শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলতে বলতে সেদিকে এগিয়ে যান অধ্যাপক ক্যারোলাইন ফলিন।

তিনি পুলিশ সদস্যদের ওই শিক্ষার্থীকে ‘ছেড়ে দিতে’ বলতে থাকলে পাশ থেকে আরেক পুলিশ কর্মকর্তা এসে তাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে ল্যাং দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন, আরও এক পুলিশ কর্মকর্তা এতে যোগ দিয়ে ফলিনকে মাটিতে ঠেসে ধরতে সহকর্মীকে সাহায্য করেন। এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা অধ্যাপক ফলিনের হাত পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলেন। এ সময় ফলিন বারবার বলছিলেন, “আমি একজন অধ্যাপক।”   

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনপন্থি এই প্রতিবাদ প্রথমে শুরু হয় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, তা এখনো শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবাদ আন্দোলনের কেন্দ্র হয়ে আছে।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভোররাত পর্যন্ত লস অ্যাঞ্জেলেস, বোস্টন ও টেক্সাসের অস্টিনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে দুই শতাধিক প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে ফের প্রতিবাদ শুরু করে।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহু শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারপরও বিক্ষোভ থামছে না। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে চোখ, ত্বকে জ্বালা ধরানো রাসায়নিক পদার্থ ও টেইজার ব্যবহার করেছে পুলিশ।   

যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, প্রতিবাদের মাধ্যমে তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে।

গাজায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৩৪৩০৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সম্প্রতি বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে আছে। গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিক্ষোভে যোগ দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনেক শিক্ষকও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *