১২ বছর পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। ই-মেইলের মাধ্যমে তিনি পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিসিবির ২১ আগস্ট, বুধবারের বৈঠকের পর সেই পদ থেকে সরে গেলেন তিনি। পাপনের উত্তরসূরি হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি হলেন সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হিসেবে ক্রিকেট বোর্ডের কাউন্সিলরশিপ আগে থেকেই ছিল ফারুকের। সেই সুবাদেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় যুক্ত হলেন পরিচালক পদে। সেখান থেকেই চলে এলেন ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদে। পরিচালক পদে এনএসসি কোটায় ফারুকের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে দু-দিন আগেই পদত্যাগ করেছিলেন জাতীয় দলের আরেক পেসার জালাল ইউনুস।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ফারুক আহমেদের সখ্যতা বেশ আগে থেকেই। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক হয়েছিলেন। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে দুই দফায় পালন করেছেন নির্বাচকের দায়িত্ব। ২০০৩ সালে প্রথমবার আসেন এই পদে। এরপর ২০১৩ সালে নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডেই আরেকবার নির্বাচক হন তিনি। ২০১৬ সালে সেই দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।
আগেই জানা গিয়েছিল এই সভা থেকেই পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন নাজমুল হাসান পাপন। বৈঠক শুরুর কিছুক্ষণ পরেই এলো সেই খবর। ২০১২ সালে সভাপতি মনোনয়ন এবং ২০১৩ সালের নির্বাচনের পর এই আসনে বসেন তিনি। এখন অপেক্ষা নতুন এক সভাপতির জন্য।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অবিচ্ছেদ্য এক অংশই হয়ে উঠেছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। ২০১২ সালে নিয়োগের পর থেকে টানা দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের উল্লেখযোগ্য অর্জনটাও ছিল তার সময়ে। যদিও নিজের মেয়াদের শেষদিকে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দ্বিতীয়বারের নিয়োগ, ক্রিকেটার এবং বোর্ডের একাধিক ব্যক্তির মধ্যে অন্তঃকলহ পরিবেশ কিছুটা হলেও বিষাক্ত হয়েছিল।
২০১৩ সালের পর ২০১৭ ও ২১ সালে টানা তিনবার নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পাপন। ২০১৩ সালে নাজমুল হাসান পাপন এনএসসি কোটায় পরিচালক হয়েছিলেন। পরবর্তীতে পরিচালকরা তাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন। গত দুই নির্বাচনে তিনি ঢাকা আবাহনীর কাউন্সিলর হিসেবে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তীতে একই প্রক্রিয়ায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন পাপন।