এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নদী থেকে অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন। উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্থানীয় প্রভাবশালীরা অবৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় কবরস্থান, বাজারসহ, জমিজমা নদীগর্ভে বিলীনের আশঙ্কা। তৎবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন দাখিল হয়েছে যার অনুলিপি পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রবৌশলী, আঞ্চলিক প্রকৌশলী কুমিল্লা, নির্বাহী প্রকৌশলী ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপারকেও প্রদান করে অবহিত করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক বরাবর দাখিলকৃত লিখিত আবেদন সূত্রে জানা যায়, গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি)চেয়ারম্যান লালুয়ারটুক গ্রামের বাসিন্দা শহীদুল হকের পুত্র আজহারুল হক, গোয়ালনগর গ্রামের মৃত দুদু মিয়ার পুত্র ইউনুছ মিয়া, আবুল হোসেনের পুত্র আশিক মিয়া ও মৃত মফিজ উদ্দিনের পুত্র আইন উদ্দিন এবং দক্ষিণদিয়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের পুত্র মিন্দি আলী ও সৈয়দ মিয়ার পুত্র শাহিদ জামান গংরা সরকারি বিধি নিষেদ থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সাথে অবৈধভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে অবৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছে। এর ফলে স্থানীয় এলাকার বাজার, কবরস্থানসহ নিরীহ জনসাধারণের জমি ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দাখিলকৃত লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেন, গোয়ালনগর গ্রামের মৃত আবদুল কাদিরের পুত্র সুলতান মিয়া, মৃত বাদশা মিয়ার পুত্র নাহিজ মিয়া, মৃত শওকত আলীর পুত্র আরশ আলী, মাছমা গ্রামের ছায়েদুল হক মিয়ার ছেলে ইসরাইল মিয়া, শহিদ মিয়ার পুত্র বুলবুল এবং দক্ষিণদিয়া গ্রামের জিন্নত আলীর পুত্র মিলন অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বাধা দিলে ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল হক ও তার সঙ্গীয়রা বাধা প্রদানকারীদের সাথে খারাপ আচরণ করাসহ রাত-দিন বালু উত্তোলন করেই যাচ্ছে। এহেন প্রেক্ষিতে অবৈধভাবে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় নদী তীরবর্তী গোয়ালনগর ইউনিয়ন এলাকার কবরস্থান, বাজারসহ বিভিন্ন অসহায়-নিরীহ মানুষের জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়া থেকে রক্ষা করাসহ তৎবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে গোয়ালনগর গ্রামের মৃত শিশু মিয়ার পুত্র আবদুর রহিম গত ৭ আগস্ট জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন দাখিল করেন।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযোগ পাবার পর উপজেলা সহকারি কমিশনারকে (ভূমি) দুই দফায় এলাকায় পাঠানো হয়েছে। এসিল্যাণ্ডকে বিষয়টি তদারকি করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর ইউএনও অফিসের সাথে যোগসাজসের বিষয়টি একেবারেই সত্য নয়। এই বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।’