চলতি জুনে দ্বিতীয়বারের মতো ভারত সফরে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এবার দ্বিপক্ষীয় সফরে দিল্লি যাচ্ছেন সরকারপ্রধান। সব ঠিক থাকলে আগামী ২১ জুন প্রতিবেশী দেশটিতে সফরের কথা রয়েছে তার।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরটি তিন দিনের হতে পারে। আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শীর্ষ বৈঠকটি আগামী ২২ জুন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। চতুর্থ দফায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর শেখ হাসিনার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে দিল্লি যাওয়ার বিষয়টি দুই দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে চূড়ান্ত হয়েছিল। যদিও চীন গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বেইজিং নিতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে।
গত ৮ জুন ভারতের মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দিল্লি সফরে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শপথ গ্রহণের পর দুই নেতার মধ্যে সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয় এবং উভয় নেতাই একে অপরকে সফরের আমন্ত্রণ জানান। ফলে আবারও অল্প সময়ের মধ্যেই দ্বিপক্ষীয় সফরে দিল্লি যাবেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগের পরিকল্পনা অনুযায়ীই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় সফরে দিল্লি যাচ্ছেন।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কে বড় পরিবর্তন আসে। সংযুক্তি, বিদ্যুৎ সহযোগিতা, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি হলেও কিছু অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে। ভারতের অগ্রাধিকার হচ্ছে নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশ সেটি নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের অগ্রাধিকার হচ্ছে পানি এবং এ ক্ষেত্রে তিস্তাসহ অন্যান্য নদীর পানি বণ্টন নিয়ে জটিলতা এখনো কাটেনি। এ ছাড়া ভারতের সীমান্ত বাহিনীর হাতে বাংলাদেশি হত্যা এবং বাণিজ্যের কিছু কিছু ক্ষেত্রে অশুল্ক বাধা নিয়েও জটিলতা রয়েছে।
তবে সংযুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা এখন আগের যেকোনো সময়ের থেকে বেশি। মাতারবাড়িকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ, ভারত ও জাপানের মধ্যে সংযুক্তি সহযোগিতার সম্ভাবনা থেকে শুরু করে নেপাল থেকে ভারতের মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎ আমদানিও করছে বাংলাদেশ।