সৌদি আরবের মক্কায় চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে আজ। হজ পালন করতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইতোমধ্যে সৌদি আরবের মিনায় পৌঁছে গেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে রাতভর কেউ হেঁটে, কেউ বাহনে চড়ে সেখানে জড়ো হয়েছেন। ‘লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে আজ মুখরিত হবে তাঁবুর শহরখ্যাত মিনার প্রান্তর।
আজ শুক্রবার (১৪ জুন) মিনার উদ্দেশ্যে যাত্রার মধ্য দিয়ে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
সারা বিশ্বের প্রায় ২০ লাখ মানুষ এবার হজে অংশ নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে হজে গেছেন ৮২ হাজার ৭৭২ জন। ৯ জিলহজ (১৫ জুন) আরাফাতের ময়দানে হজের মূলপর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। তাই হাজিরা সেখানে অবস্থান করবেন। এরপর আরাফার ময়দান, মুজদালিফা, মিনায় কঙ্কর নিক্ষেপ, মাথা মুণ্ডন, সাফা-মারওয়া সায়ী, তাওয়াফ, দমে শোকর আদায়ের মাধ্যমে আগামী মঙ্গলবার (১৮ জুন) শেষ হবে পাঁচদিনের হজের কার্যক্রম।
হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুক্রবার থেকে শুরু হলেও অনেক হজযাত্রীকে বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁবুর শহর মিনায় নেওয়া শুরু করছেন মুয়াল্লিমরা। এশার নামাজের পর মক্কার নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরামের কাপড় পরে মিনার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন হাজিরা। মিনায় গিয়ে হাজিরা ফজর থেকে শুরু করে এশা পর্যন্ত অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন নিজ নিজ তাঁবুতে।
এরপর ৯ জিলহজ সকাল থেকে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হতে শুরু করবেন হাজিরা। এদিন দুপুর থেকে সুর্যাস্তের আগ পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করা ফরজ। মূলত এদিনকেই হজের দিন বলা হয়। দিনটি ইয়াওমুল আরাফা হিসাবেও পরিচিত। এরপর হাজিরা আরাফার ময়দান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাত যাপন এবং পাথর সংগ্রহ করবেন।
হাজিরা ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে যাবেন। সেখানে তারা বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ ও সায়ী করবেন। এরপর হাজিরা আবার মিনায় ফিরে ১১ এবং ১২ জিলহজ অবস্থান করবেন। এ সময় প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন তারা।
এবার আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা প্রদান করবেন মসজিদুল হারামের জনপ্রিয় ইমাম ও খতিব শায়খ ড. মাহের বিন হামাদ বিন মুয়াক্বল আল মুয়াইকিলি। একইসঙ্গে তিনি মসজিদে নামিরাতে নামাজও পড়াবেন।