গত অর্থবছরের তুলনায় ২০২৪-২৫ প্রস্তাবিত বাজেটে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ খাতে ৪ হাজার ৫০২ কোটি টাকা বরাদ্দ কমানো হয়েছে
৬ জুন, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদন হয় এবং পরে ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
প্রস্তাবে বলা হয়, ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে আমাদের গ্যাসের উৎপাদন ছিল দৈনিক ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে প্রায় ২ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি দৈনিক প্রায় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট আমদানিকৃত এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি হতে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১৪ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে অনশোর এলাকায় তেল/গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য ৪৮টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ফলে সামুদ্রিক খনিজ ও অন্যান্য সম্পদের আহরণ এবং এর সুষ্ঠু ব্যবহারের গুরুত্ব বিবেচনায় সুনীল অর্থনীতি খাতে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অফশোর মডেল প্রডাকশন শেয়ারিং কনট্রাক্ট ২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আওতায় অগভীর সমুদ্রের ৯টি ব্লক ও গভীর সমুদ্রের ১৫টি ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য ‘বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড-২০২৪’ শুরু করা হয়েছে।
এছাড়া দেশের জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের পরিশোধন ক্ষমতা ১৫ লাখ টন থেকে বৃদ্ধি করে ৪৫ লাখ টনে উন্নীত করার জন্য ইআরএল ইউনিট-২ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের গুরুত্ব বিবেচনায় এ খাতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা।