যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ মে) দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার প্রথম সফর এটি। ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফরে ভিসা নীতি ছাড়াও র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয় উঠে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
১৩ মে, সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আলাপকালে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। সুতরাং, মার্কিন প্রশাসন থেকে যারাই বাংলাদেশে সফর করুক না কেন, আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করবো।তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও দুই দেশের নানা ক্ষেত্রে সম্পর্ক আছে, সেগুলো নিয়েও আলোচনা হবে। ভিসা নীতি বা র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আমাদের সম্পর্কে কিছুটা ব্যাঘাত করেছিল ঠিকই, তবে সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। পাশাপাশি এগুলো যাতে সহজীকরণ করা হয় সেজন্য আমরা ইতোপূর্বে মার্কিন প্রশাসনের হোয়াইট হাউস স্টেট ডিপার্টমেন্টের যেসব কর্মকর্তারা এসেছিল, তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেই প্রসঙ্গগুলো স্বাভাবিকভাবেই আসতে পারে। সেগুলো (র্যাবের নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি) আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছুটা রেখাপাত করেছে তো বটেই। সেগুলো নিয়ে অবশ্যই আমরা আলোচনা করব।
বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপির আন্দোলন মুখ থুবড়ে পড়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করা। তবে তাদের সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ হলো বিশ্বব্যাংকের সহায়তা ছাড়াই পদ্মা সেতু নির্মাণ। নিন্দুকের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মা সেতু হয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে সিপিডি-টিআইবিসহ অন্যান্য সমালোচনাকারীদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে যেকোনো উন্নয়ন সম্ভব- সেটির বড় প্রমাণ পদ্মা সেতু বলেন তিনি।