অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কিনতে ইসরায়েলকে আরও সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার (৩৫০ কোটি ডলার) দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
৯ আগস্ট, শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, কয়েক মাস আগেই ইসরায়েলের জন্য এই অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস।
গত এপ্রিলে ইসরায়েলকে অস্ত্র কিনতে অর্থ বরাদ্দ সংক্রান্ত বিল পাস করেছিল কংগ্রেস। ওই বিলে ইসরায়েলের জন্য ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দের উল্লেখ ছিল। বিদেশি সামরিক অর্থায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই অর্থ থেকে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র কিনতে পারবে।
তবে এখনই অস্ত্র কিনতে পারছে না ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্রগুলো এখন তৈরি হচ্ছে। অস্ত্র তৈরি শেষ হওয়ার পর ইসরায়েল তা কিনতে পারে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ ও গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
মূলত ইসরায়েলি হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বরতায় কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সবাই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।