ভারতের কেরালার ওয়ানাড় জেলায় ভূমিধসে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২৮২ জন। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ২৪০ জন মানুষ। যদিও সংবাদ সংস্থা পিটিআই অসমর্থিত সূত্র উল্লেখ করে দাবি করেছে, মৃতের প্রকৃত সংখ্যা ২৭৬।
চালিয়ার নদী থেকে এখন পর্যন্ত ৯২টি মরদেহ উদ্ধারের খবর মিলেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কেননা বৃহস্পতিবার কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই দাবি করলেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত কাউকেই আর উদ্ধার করা বাকি নেই। এখন কাজ কেবলই মরদেহ উদ্ধার।
তিনি বলেন, মনে করা হচ্ছে যে, মুন্ডাক্কাই, চুরালমালা ও আট্টামালা গ্রাম থেকে আর কাউকেই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা বাকি নেই। যা বাকি আছে তা হলো ওখানে থাকা মরদেহগুলো বের করে আনা।
ভূমিধসের ঘটনায় ওয়ানাড়ের অন্তত ৩৫০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় বারবার বিঘ্নিত হয়েছে উদ্ধার কাজ।
স্বস্তির খবর হলো, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় সেনাবাহিনী চুরামালা ও মুন্ডাক্কাই গ্রামের মধ্যে বেইলি ব্রিজটি বানিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। এবার ওই পথে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে যেতে পারবে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
বৃহস্পতিবার ধস-বিধ্বস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আর সেখানেই আবেগপ্রবণ হলেন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি। সেখানে তিনি বলেন, আজ আমার সেই অনুভূতি হচ্ছে, যেটা বাবা মারা যাওয়ার সময় হয়েছিল।
চুরালমালা গ্রাম ঘুরে দেখে কংগ্রেস নেতা বলেন, বাবার মৃত্যুতে আমি যেমন অনুভব করেছি, আজ আমি ঠিক তেমনই অনুভব করছি। এখানে মানুষ শুধু একজন বাবাকে নয়, পুরো পরিবারকে হারিয়েছে। পুরো দেশের মনোযোগ বর্তমানে ওয়ানাড়ের দিকে।
তিনি আরও বলেন, আমরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এখানে এসেছি। বহু মানুষ তাদের পরিবারের সদস্য এবং ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এই পরিস্থিতিতে মানুষের সঙ্গে কথা বলা খুব কঠিন। কারণ আপনি সত্যিই জানেন না তাদের কী বলতে হবে।