আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)।
২৬ জুলাই, শুক্রবার সংস্থাটির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এখনো মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। যেসব সঞ্চালন লাইন এবং ডেটা সেন্টার রিপেয়ার করা হয়েছে, ইমপ্যাক্টটা কেমন পড়ছে এবং মোবাইল ইন্টারনেটে প্রেশার যেহেতু আরেকটু বেশি পড়বে, সেজন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করছি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে রবি-সোমবারে চালু করার পরিকল্পনা আছে।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৭ জুলাই সারাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। পরদিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ঘটনার পাঁচদিন পর গত মঙ্গলবার রাত থেকে গুরুত্বের ভিত্তিতে সীমিত আকারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হলেও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরদের এক নির্দেশনায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, ইউটিউবসহ গুগলের সেবার ক্যাশ সার্ভারগুলো যেন আরো সক্রিয় করা হয়। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকের ক্যাশ সার্ভার যেন বন্ধ রাখা হয়।
বিটিআরসি ও আইআইজি সূত্র জানায়, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হলেও তা আগের মতো অবস্থায় নেই। পাঁচ থেকে সাত দিন যদি ব্যান্ডউইথ না থাকে, তখন কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক (সিডিএন) সমৃদ্ধ হতে বা আগের অবস্থায় ফিরতে অন্তত ৪৮ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় নেয়। সে কারণে এখন ইন্টারনেটের গতি ধীর পাওয়া যাচ্ছে। এটা দু-এক দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক অবস্থায় চলে আসবে।
অন্যদিকে সরকার এখনই ফেসবুক ও টিকটক চালু করছে না। গত বুধবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক সাংবাদিকদের বলেন, ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকের কোনো জবাবদিহি নেই। তারা একেক দেশে একেক ধরনের আচরণ করে। বুস্টিংয়ের মাধ্যমে তারা ঠিকই বাংলাদেশে ব্যবসা করছে; কিন্তু দেশের নিয়ম মানছে না। বাংলাদেশের নিয়ম মানতে তাদের চিঠি দেবে সরকার। এর জবাব দিতে এসব প্রতিষ্ঠানকে হাজির হতে বলা হবে।