ইউরোয় পোল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আবার মাঠে ফিরেছেন এমবাপ্পে। একই সঙ্গে ইউরোয় গোলখরাও কেটেছে তার। তবে বিশ্বকাপজয়ী এই স্ট্রাইকার গোল পেলেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি ফ্রান্স। ১-১ গোলে ড্র হয় ম্যাচটি।
ম্যাচের ১৯ ইনিটেই গোল করার দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল ফরাসিরা, এনগলো কন্তের বাড়িয়ে দেয়া বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন উসমান ডেম্বেলে। তবে পোল্যান্ডের গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে পারেননি তিনি।
এদিকে পোল্যান্ডও এদি ফ্রান্সের বিপক্ষে বেশ কয়েকবারই আক্রমণে গেছে। ৩৪ মিনিটে রবার্ট লেভানডভস্কি দারুণ এক সুযোগও পেয়েছিলেন, তবে কাজে লাগাতে পারেননি। এদিকে ৪২ মিনিটে এমবাপে দারুণ ক্ষিপ্রতায় পোল্যান্ডের ডি বক্সে ঢুকে দারুণ শট নেন, তবে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক পরাস্ত করেন তাকে। এর পরের মিনিটেও তরুণ এই স্ট্রাইকারের নেয়া শট ঠেকিয়ে দেন পোল্যান্ডের গোলরক্ষক।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ফ্রান্স আক্রমণ শুরু করেছে দ্বিতীয়ার্ধেও। তবে পোল্যান্ডের জমাট রক্ষণ ভেদ করতে পারেননি এমবাপ্পেরা। তবে দিদিয়ের দেশমের দল শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পেয়েছে ম্যাচের ৫৬ মিনিটে।
নিজেদের ডি বক্সে ডেম্বেলেকে ফাউল করে বসেন পোল্যান্ডের ইয়াকুব কিভিওর, ফলে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স, আর স্পটকিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এমবাপ্পে। ইউরোপিয়ান ফুটবলের সবথেকে বড় এই আসরে এটিই এমবাপ্পের প্রথম গোল।
এদিকে এমবাপ্পের গোলখরা কাটলেও পোল্যান্ডের বিপক্ষে এ ম্যাচে আর গোলের দেখা পায়নি দেশমের শিষ্যরা। এদিকে ম্যাচের শেষদিকে এসে নিজেদের ডি বিক্সে ফাউল করে বসেন উপামেকানো। ফলে পেনাল্টি পায় পোল্যান্ডও।
স্পটকিক থেকে নেয়া লেভাওনডভস্কির শটটি ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন ফ্রান্স গোলরক্ষক মাইক মিয়াঁ, তবে শট নেয়ার আগেই গোললাইন ছাড়ায় আবারও সুযোগ পান লেভাওনডস্কি, এবার আর ভুল করেননি বার্সেলনা স্ট্রাইকার, ফলে ম্যাচে সমতা পায় পোল্যান্ড।
এরপর আর কোনো দলই গোলের দেখা না পাওয়ায় ১-১ গোলে ড্র হয় ম্যাচটি।
এই ড্রয়ে তিন ম্যাচে এক জয় ও দুই ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ফ্রান্স। তিন ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট অস্ট্রিয়ার। এই দুই দলের সঙ্গে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে নেদারল্যান্ডসেরও, সেরা চারের তৃতীয় দল হয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে ডাচদের।