ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার যে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল তা তুলে নেওয়া হয়েছে। সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রম করে প্রায় এক বছর পর দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চেয়ে পার পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা যুবলীগ।
জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহনুর ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। ১৫ জুন বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করা হয়।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করায় কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত ১ জুন উপজেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটি বরাবর লেখা এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, স্থগিতাদেশ থাকায় তারা দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। এ অবস্থায় অতীতের সংগঠনবিরোধী কার্যক্রমের জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করছে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে। দীর্ঘ অর্ধ যুগেরও বেশি সময় ধরে আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি বিদ্যমান।
কমিটির আহ্বায়ক মো. তাকজিল খলিফা কাজল এরই মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। এছাড়া আহ্বায়ক কমিটির অন্য নেতারাও দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগ করে আসছেন এবং আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে তাদের কাজ করতে দেখা যায়।
এর আগে ২০০৬ সালেও যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি হয়। দীর্ঘদিন পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় রাজনৈতিক কার্যক্রমেও অনেকটা ভাটা পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরের ২১ মে আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। কেন্দ্রীয় যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল ইসলাম খান নিখিলের নির্দেশে দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদের দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ওই কমিটির বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। একই বিজ্ঞপ্তিতে আখাউড়া পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়নের কমিটি পুনর্বহালের কথা উল্লেখ করা হয়। ওই ছয়টি ইউনিটে নতুন ঘোষিত কমিটির বদলে আগের কমিটি কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল বলেন, ‘সংগঠনের কার্যক্রমের স্বার্থে কেন্দ্রের নির্দেশে জেলা নেতৃবৃন্দ আমাদের কমিটির ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।