কোথাও ৭৭, কোথাও ২০১! এবার বিশ্বকাপে বিস্ময়ের নাম উইকেট। এক মাঠে রান উঠছে তো আরেক ম্যাচে রান খরা। কোথাও ১৯৪ রানের লক্ষ্য দিয়েও ম্যাচ জেতা যাচ্ছে না, কোথাও ১১৩ রানও জয়ের জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশ বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আগে তাই সবার বাড়তি আগ্রহ সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভ্যাল গ্রাউন্ডের উইকেট নিয়ে।
এই মাঠে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে ২০১৪ সালে। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ সিপিএলের কোনো ম্যাচও হয়নি এখানে। সে মাঠেই এবার ডাচদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। অনেকটা নতুন উইকেটে হবে এই ম্যাচ।
কেমন আচরণ করবে উইকেট?
এই ম্যাচে নামার আগে আজ স্থানীয় সময় সকালে অনুশীলন সেশন করে বাংলাদেশ দল। সে অভিজ্ঞতা থেকে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন বলেন, ‘কন্ডিশন নিউইয়র্কে যা ছিল তার চেয়ে বেটার মনে হয়েছে। চ্যালেঞ্জ আছে কারণ বাতাস আছে অনেক। বোলারদের একটু সাহায্য আছে যতটুকু ব্যাটিং করে বুঝলাম, কিন্তু আশা করব যে কালকে ভালো উইকেটেই খেলা হবে।
আমরা জানি না আসলে। যে রকমই উইকেট থাকবে অইটা মানিয়ে নিয়েই আমরা খেলার চেষ্টা করব।’
এই মাঠের পরিসংখ্যান বলছে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পাবেন। আগে যে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ এখানে হয়েছে, ১৫৮ আর ১৩৫ রানের লক্ষ্য দিয়েও জিতেছে পাকিস্তান।
নাজমুলের কাছে অবশ্য দুরকম মনে হয়েছে, ‘যদিও আমরা সেন্টারে ব্যাটিং করেছি।
সেন্টারের দুই উইকেট দুই রকম আচরণ করেছে। যেরকম ব্যাটারের কাছ থেকে ফিডব্যাক পেলাম বা আমি যখন ব্যাটিং করলাম। তো এটা বলা মুশকিল যে কালকের ম্যাচে কত রানের উইকেট হবে। একজন ব্যাটার বা বোলার কত তাড়াতাড়ি আমরা উইকেটটা রিড করছি এবং অই অনুযায়ী ব্যাটিং করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
ভিনসেন্টের আর্নোস ভ্যাল গ্রাউন্ডে বাংলাসেশের সুখস্মৃতি আছে। ২০০৯ সালে এখানে টেস্ট জিতেছেল বাংলাদেশ দল। সে দলের দুই সদস্য সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদ উল্লাহ এবারের বিশ্বকাপ দলেও আছেন। তাদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতার ভাগ নিচ্ছেন দলের বাকিরা।
সে প্রসঙ্গ তুলে নাজমুল বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের সম্ভবত প্রথম অধিনায়কত্ব এই মাঠ থেকে শুরু হয়। সাকিব ভাই বলছিল, মাশরাফি ভাই চোটে পড়েছিলেন। রিয়াদ ভাইয়ের সম্ভবত ৫ উইকেট আছে টেস্টে। হ্যাঁ আলাপ হয়েছে মাঠ সম্পর্কে।’