বাংলাদেশ যদি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় পেত, তবে দলটি সুপার এইটে উঠলেও প্রতিপক্ষ পরিবর্তন হতো না। অর্থাৎ ‘ডি’ গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ সুপার এইটে গেলে তাদের প্রতিপক্ষ আগে থেকেই নির্ধারণ করা আছে। গ্রুপ পর্বে নিজেদের পরের দুই ম্যাচ জিতে নাজমুল হোসেনরা পরের পর্বে গেলে নিয়ম অনুযায়ী বেশ শক্ত প্রতিপক্ষ পাবে।
এবার বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে ছিল চার গ্রুপ।
পাঁচ দলের একেক গ্রুপ থেকে দুটি করে দল উঠবে সুপার এইটে। সুপার এইটে থাকছে আবার দুই গ্রুপ। তবে গ্রুপ পর্বের অবস্থানের ভিত্তিতে নয়, গত দুই আসরের মতো পূর্বনির্ধারিত সিডিং অনুযায়ী ঠিক হবে সুপার এইটের গ্রুপ। মূলত দর্শকদের টিকিট কাটার সুবিধা, দলগুলোর লজিস্টিক ঠিক করার সুবিধার কথা বিবেচনা করা- এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি।
গ্রুপ পর্বের চারটি শীর্ষ বাছাই ধরে নিয়ে সুপার এইটের জন্য আগেই একটা সিডিং করা আছে। যেমন ‘এ’ গ্রুপ থেকে ভারতকে এ১ এবং পাকিস্তানকে এ২ ধরা হয়েছে। তাদের টপকে যদি অন্য কোনো দল সুপার এইটে ওঠে, তাহলে সেই দল পাবে বাদ পড়া দলের সিডিং নম্বর। এখানে যেমন পাকিস্তানের সুপার এইট পর্বে খেলা শঙ্কার মুখে, এই গ্রুপ থেকে যদি যুক্তরাষ্ট্র সুপার এইটে যায়, তবে তারা পাবে এ২ সিডিং, সুপার এইটের গ্রুপ টুতে স্থান হবে তাদের।
এভাবে র্যাংকিং বিচারে ‘ডি’ গ্রুপের সিডিং অনুযায়ী দক্ষিণ আফ্রিকাকে ডি১ ও শ্রীলঙ্কাকে ডি২ ধরা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার যেহেতু সুপার এইট অনেকটা নিশ্চিত, সে ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা বাংলাদেশ সুপার এইটে উঠলে লঙ্কানদের ডি২-তে জায়গা পাবে। এতে সুপার এইটের গ্রুপ ওয়ানে যাবে বাংলাদেশ।
সুপার এইটে উঠলে গ্রুপ ওয়ানে থাকবে অস্ট্রেলিয়া, ভারত। নিউজিল্যান্ডকে টপকে যদি আফগানিস্তান সুপার এইটে ওঠে, তাহলে তারাও গ্রুপ ওয়ানের সঙ্গে হবে।
এদিকে রানরেটে অনেকটা এগিয়ে থাকায় ইংল্যান্ডকে টপকে সুপার এইটের দৌড়ে আছে স্কটল্যান্ড। পাকিস্তানকে হারানো যুক্তরাষ্ট্রও দেখছে সুপার এইটের স্বপ্ন। পরের রাউন্ডে গেলে এই দুই দলেরই জায়গা হবে গ্রুপ টুতে। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর মধ্যে এক পা দিয়ে রেখেছে।