সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার মাংসের টুকরো মানুষের :কলকাতা ফরেনসিক বিভাগ

Spread the love

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যায় তল্লাশি চালিয়ে, সঞ্জীবা আবাসনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া পচে যাওয়া মাংসের টুকরো মানুষের।
১০ জুন, সোমবার কলকাতার ফরেনসিক বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা যাবে মাংসগুলো এমপি আনারের কি না।
নতুন করে ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে নিউটাউনের বাগজোলা খাল থেকে উদ্ধার হওয়া হাড়গোড়। আর সে কারণেই খুব শীঘ্রই সাংসদ আনারের পরিবারের সদস্যদের খবর পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
রবিবার (৯ জুন) খাল থেকে উদ্ধার হয়েছে বড় ও মাঝারি সাইজের সাতটি এবং বুক ও পাঁজর-সহ ১২টি হাড়। হাড়গুলি মূলত হাতের এবং কোমর থেকে পায়ের হাঁটুর।
এদিকে, গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে সিয়াম হোসেন জানিয়েছে, সে পলাতক আখতারুজ্জামান শাহিনের অধীনে মাসিক ষাট হাজার টাকা বেতনে কাজ করত। শাহিনের নির্দেশেই সে জিহাদকে মুম্বাই থেকে কলকাতা এনেছিল। তাকে রাজারহাটে একটি ভাড়ার ফ্ল্যাটে রেখেছিল।
এছাড়া খুনের জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র, পলিথিন, ট্রলি ব্যাগ সবকিছুই কিনে আনা হয়েছিল নিউমার্কেট এলাকা থেকে। অন্য দুই অভিযুক্ত ফয়সাল এবং মুস্তাফিজ রহমান মাংস কিমা করার মেশিন কিনে এনেছিল।
আনারকে হত্যা করার পর তার মাংস এবং হাড় আলাদা করা হয়। তারপর ছোট ছোট টুকরো এবং কিমা করা হয় ওই মেশিনে। ওই মেশিন এখন কোথায় তা জানে শুধু ফয়সাল সাজি।
মাংসের টুকরো ও হাড় উদ্ধার হলেও এখনো খোঁজ নেই সংসদের মাথার খুলি, কিংবা ব্যবহার করা অস্ত্রের। সিয়াম জানিয়েছে, তারা একটি গাড়ি ভাড়া করে কৃষ্ণমাটিতে গিয়ে ট্রলিব্যাগ থেকে হাড় এবং মাথার অংশ ট্রলি থেকে বের করে খালের মধ্যে ছুঁড়ে দিয়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গ গোয়েন্দাদের দাবি, আরও কয়েক ধাপে, ভারতীয় নৌ সেনার সাহায্যে তল্লাশি করা হবে নিউটাউন অন্তর্গত ভাঙরের সাতুলিয়া এলাকার বাগজোলা খালে। তখনই আরও দেহংশ মিলতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *