সুপার ওভারে পাকিস্তানকে হারাল যুক্তরাষ্ট্র

Spread the love

টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সহ আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দলটির নিজস্ব কোনো খেলোয়াড় নেই। বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গঠন করেছে।
আইসিসির এই সহযোগী দলটির বিপক্ষে লড়াইয়ে করেও জিততে পারেনি সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে সুপার ওভারে হেরে যায় পাকিস্তান।
মূল ম্যাচে শেষ বলে যুক্তরাষ্ট্রের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫ রান। হারিস রউফের করা ইনিংসের একবারে শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ টাই করেন নীতিশ কুমার।
শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের পর ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে দলের সেরা পেস বোলার মোহাম্মদ আমিরের হাতে বল তুলে দেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম।
পাকিস্তানের হয়ে ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বল করা মোহাম্মদ আমিরের হাতে সুপার ওভারের দায়িত্ব তুলে দেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। তবে এবার আর চাপটা নিতে পারলেন না তিনি, তিন ওয়াইড বলের সঙ্গে অতিরিক্ত রান মিলিয়ে দিলেন ৭। ফলে মাত্র একটি চার মেরেও ১৮ রান পেয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র।
সুপার ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। প্রথম বলে কোনো রান নিতে পারেননি ইফতেখার আহমেদ। দ্বিতীয় বলে হাঁকান বাউন্ডারি। পরের ডেলিভারিতে ওয়াইড। তৃতীয় বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ইফতেখার আহমেদ।
রানতাড়ায় ম্যাচ পেন্ডুলামের মতো দু’দিকে দুলতে থাকে। জয়ের জন্য শেষ তিন বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রেরই শেষ হাসি, সুপার ওভারে তারা জয় তুলে নিলো ৫ রানে।
আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৫৯ রান করে পাকিস্তান। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে যুক্তরাষ্ট্র।
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলতি আসরে চমক দেখানোর অপেক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দল। নবম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচেই কানাডার বিপক্ষে ১৯৫ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করে দাপুটে জয় পায় বিশ্বকাপের সহ স্বাগতিকরা।
টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিং আমন্ত্রণ জানায় যুক্তরাষ্ট্র। আগে ব্যাট করতে নেমে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যাওয়া পাকিস্তান, শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করতে সক্ষম হয়েছে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের গ্রান্ড প্যারিস স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেই বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই আউট হন তারকা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান।
তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ফেরেন ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামা উসমান খান। এরপর ৪.৪ ওভারে স্কোর বোর্ডে মাত্র ২৬ রান জমা হতেই তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন তারকা ব্যাটসম্যান ফখর জামান।
মাত্র ২৬ রানে প্রথম সারির ৩ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। দলকে খেলায় ফেরাতে চেষ্টা করেন অধিনায়ক বাবর আজম ও সহঅধিনায়ক শাদাব খান। চতুর্থ উইকেটে তারা ৪৮ বলে ৭২ রানের জুটি গড়েন।
এরপর কোনো রান যোগ করার আগেই সাজঘরে ফেরেন শাদাব খান ও আজম খান। শাদাব খান ২৫ বলে এক চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ রান করলেও শূন্য রানে ফেরেন আজম খান।
দলের এই ব্যাটিং বিপর্যয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন অধিনায়ক বাবর আজম। ১৫.৫ ওভারে দলীয় ১২৫ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন তিনি। তার আগে ৪৩ বলে দুই চার আর তিন ছক্কায় মাত্র ৪৪ রান করেন বাবর। এই রান করার পথেই ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার বিরাট কোহলিকে ছাড়িয়ে টি–টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়েন বাবর।
১২০ বলে ১৬০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে এক উইকেটে ১০৪ রান করে জয়ের পথেই ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারালে রান তোলার গতি কমে যায়।
কিন্তু দলকে জয় উপহার দিতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন মোনাঙ্ক প্যাটেল। তিনি ৩৮ বলে ৭টি চার আর এক ছক্কায় ৫০ রান করে ফেরেন। ২৬ বলে ৩৫ রান করেন আন্দ্রেস গৌস। ২৬ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন অ্যারন জোন্স। আর ১৪ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন নীতিশ কুমার। তিনি শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ টাই করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *