যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা শুরু ইউক্রেনের

Spread the love

ভূখণ্ডে হামলা চালানোর অনুমতি পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা শুরু করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র দিমিত্রো প্লেটেনচুক জানায়, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, প্রথমবারের মতো রাশিয়ার দুটি ল্যানসেট ও অরলান ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে।
৭ জুন, শুক্রবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
গত ১০ মে খারকিভে নতুন করে হামলা চালায় রাশিয়া। এর পরপরই গত ২৬ ও ২৭ মে ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে তাদের অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয় ফ্রান্স ও জার্মানি। আর গত ৩০ মে খারকিভে পাল্টা হামলা চালাতে তাদের অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র জানায়, রুশ ভূখণ্ডে ৩০০ কিলোমিটার রেঞ্জের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়নি। তবে ফ্রন্ট লাইন থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরের ক্রিমিয়া থেকে এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা যাবে। ফলে মার্কিন অস্ত্রের ব্যবহার রাশিয়ার কয়েকটি এলাকায় নির্ধারিত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে, যাতে খারকিভে রুশ হামলা থেকে আত্মরক্ষা করতে পারে ইউক্রেন।
তবে গত সপ্তাহের দুটি হামলা থেকে বোঝা যায়, বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় ইউক্রেনকে আরও কার্যকর প্রতিরক্ষার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
ইউক্রেনের কমান্ডার-ইন-চিফ ওলেক্সান্ডার সিরস্কি বলেছেন, খারকিভ ফ্রন্টে দ্রুত শক্তিবৃদ্ধি হচ্ছে। তবে তিনি এটাও স্বীকার করেছেন যে, পূর্ণমাত্রার অভিযান পরিচালনা বা নিজেদের প্রতিরক্ষায় ইউক্রেনের এই সেনাবাহিনী যথেষ্ট নয়।
তারপরও ইউক্রেন সেনাবাহিনীর ধারণা, রাশিয়ার ১০৩টি ট্যাংক,১৭৭টি সাঁজোয়া যুদ্ধযান এবং ২৮০টি কামানের গোলা ধ্বংস করেছে তারা।
অবশ্য রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে। গতকাল রাতভর হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের দুটি জল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও দুটি তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস করেছে তারা।
এদিকে ন্যাটোপ্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বলেছেন, জোটের অনেক সদস্য ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ করলেও ইউক্রেনে বাহিনী মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই।
স্টলটেনবার্গ ফিনল্যান্ড সফরের সময় বলেন, ইউক্রেনে বাহিনী মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা ন্যাটোর নেই।
পাশাপাশি তিনি জানান, তার জোট যত দিন সময় লাগে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানো নিশ্চিত করতে দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক প্রতিশ্রুতি চাইছে।
তিনি আরো বলেন, গত মাসগুলোতে আমরা ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা প্রদানে কিছু ফাঁক, কিছু বিলম্ব দেখেছি। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, এটি আবার ঘটবে না।
রাশিয়ার ইউক্রেনে আক্রমণের কারণে ২০২৩ সালের এপ্রিলে ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগদান করে। এরপর থেকে দেশটিতে স্টলটেনবার্গের প্রথম সফর এটি। জোটে দেশটির যোগদানের ফলে কয়েক দশকের সামরিক নিরপেক্ষতার অবসান হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার ফ্রান্সে পশ্চিমা নেতাদের সাথে সফর করছেন। সেখানে জেলেনস্কি সাম্প্রতিক রুশ অগ্রগতির পর ইউক্রেন কিভাবে আগের অবস্থানে ফিরে যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে দেখা করার কথা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *