পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, রাজনৈতিক উত্তেজনা কমাতে তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মুখ বন্ধ রাখতে হবে। আমি মনে করি পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা উত্তেজনা বাড়াতে চায়। ইমরানের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা একটি পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন।
ওই পোস্টে ইমরানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, প্রত্যেক পাকিস্তানির উচিত হামুদুর রহমান কমিশনের রিপোর্ট পড়া এবং কে সত্যিকারের বিশ্বাসঘাতক জেনারেল ইয়াহিয়া খান নাকি শেখ মুজিবুর রহমান তা জানা।
খাজা আসিফ বলেন, ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে আদিয়ালা কারাগারে বন্দি ইমরান আবারও ৯ মে’র মতো পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে করা টুইটটি প্রত্যাহারের চেষ্টা চলছে। ব্যারিস্টার গওহর খান (পিটিআই চেয়ারম্যান) জানিয়েছেন টুইটটি করার আগে সোশ্যাল মিডিয়া টিম অনুমতি চায়নি।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের রাজনীতিবিদের ইতিহাস ও পূর্ব পাকিস্তানের ট্র্যাজেডি নিয়ে তার ভিন্ন একটি অবস্থান রয়েছে। ইমরান ও তার দলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পূর্ব পাকিস্তান ট্র্যাজেডি অতিরঞ্জিত করে আপনারা উত্তেজনা বাড়াতে চান।
খাজা আসিফ বলেন, রাজনীতি হোক বা খেলাধুলা, যারাই তার সঙ্গে ভালো করেছেন, তাদের প্রত্যেককেই তিনি দংশন করেছেন।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত পোস্টের জন্য ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির সাইবার ক্রাইম টিম বৃহস্পতিবার ইমরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তদন্ত এগিয়ে নিতে সংস্থাটি ওইদিন রাতেই আদিয়ালা কারাগারে পৌঁছায় তবে ইমরান তাদের দেখা দেননি।
আদিয়ালা কারাগার সূত্র জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিতর্কিত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট সম্পর্কে এফআইএ’র তদন্তের অংশ হতে অস্বীকার করেন। তিনি কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি। বলেছেন, আইনজীবীদের উপস্থিতিতেই সব প্রশ্নের জবাব দেবেন।
অন্যদিকে পিটিআই চেয়ারম্যান বলেছেন, এই পোস্টের সঙ্গে ইমরানের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ তিনি তার অ্যাকাউন্টে আপলোড করা পোস্টগুলো দেখেননি।