এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: কসাই জিহাদের ১২ দিনের রিমান্ড

Spread the love

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া কসাই জিহাদের ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বারাসাতের আদালত।
২৪ মে, শুক্রবার দুপুরের দিকে তাকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজিএম) বিচারক শুভঙ্কর বিশ্বাসের এজলাসে তোলা হয়। বিচারক ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালত সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৩ মে) জিহাদ হাওলাদারকে গ্রেফতার করেছে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি। বনগাঁও অঞ্চলের গোপাল নগরে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েন জিহাদ হাওলাদার। তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেফতারের পর জিহাদ জেরার মুখে এমপি আনার হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন।
আনন্দবাজার ও এনডিটিভি জানিয়েছে, সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ বলেছেন, প্রথমে আনারকে শ্বাসরোধে খুন করা হয়। তারপর দেহ কাটা হয় টুকরো টুকরো করে। হাড় এবং মাংস আলাদা করা হয়। চামড়া ছাড়িয়ে তাতে হলুদ মাখান অভিযুক্তরা, যাতে বাইরে কেউ জিজ্ঞেস করলে বলা যায়, রান্না করার জন্য মাংস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই দেহাংশ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
পশ্চিমবঙ্গের সিআইডির সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার গ্রেফতারের পর জিহাদকে ভাঙড়ের একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আনারকে খুনের পর সেখানেই দেহাংশ ফেলা হয়েছে বলে জেরায় উঠে এসেছে। কিন্তু রাতের অন্ধকারে সেখান থেকে কোনো দেহাংশ মেলেনি
বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ২৪ বছর বয়সী জিহাদ হাওলাদার বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা। অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন তিনি। আনারকে ‘খুনে’র প্রায় দুই মাস আগে অভিযুক্তরা জিহাদকে মুম্বাই থেকে কলকাতায় নিয়ে আসেন।
জিহাদ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত আখতারুজ্জামানের নির্দেশেই জিহাদ সব কাজ করেছিলেন। জিহাদ ছাড়াও আরও চার জন বাংলাদেশি নাগরিক এই কাজে তাকে সাহায্য করেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *