স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কাজাখস্তানের সাবেক অর্থমন্ত্রী কুয়েঞ্জিক বিশিমবায়েভের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ সামনে আসার পর দেশটিতে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ঘটনায় বেকায়দায় পড়েছেন দেশে সাম্যের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সকলকে সুবিচার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া প্রেসিডেন্টও।
গত বছরের ৯ নভেম্বর দেশটির একটি রেস্তোরাঁয় এই রোমহর্ষক ঘটনা ঘটে। ওই মাসে একটি রেস্তোরাঁয় মিলেছিল বিশিমবায়েভের স্ত্রী সালতানাত নুকেনোভার মরদেহ। যে রেস্তোরাঁতে তার মরদেহ পাওয়া যায় সেটি বিশিমবায়েভের এক আত্মীয়ের। আগের দিন রাত থেকে সেখানে ছিলেন স্বামী-স্ত্রী।
ওই রেস্তোরাঁর সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। সেখানে দেখা গেছে, কাজাখস্তানের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী স্ত্রীকে টানা আট ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালিয়েছেন। ঘুষি-লাথির পর সালতানাতকে চুলের মুঠি ধরে পাশের ঘরে টেনে নিয়ে যান।
আদালতে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, স্বামীর হাত থেকে বাঁচতে শৌচালয়ে গিয়ে লুকিয়েছিলেন সালতানাত। দরজা ভেঙে তাকে সেখান থেকে বার করে এনে মারধর শুরু করেন প্রাক্তন মন্ত্রী।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সালতানাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে লেখা হয়েছে, মাথায় আঘাত লেগে মৃত্যু হয়েছে সালতানাতের।
বিশিমবায়েভর বিরুদ্ধে চরম সহিংসতার পাশাপাশি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
এদিকে এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের প্রভাব কাজাখস্তান ছাড়াও রাশিয়া এবং তার বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে এবং প্রথাগত লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে ক্ষোভ ও বিতর্ক উসকে দিয়েছে।
জনরোষের মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ত তোকায়েভ ১৫ এপ্রিল একটি নতুন আইনে স্বাক্ষর করেছেন, যাতে নারী ও শিশুদেরকে আঘাত করাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে কারাবাসের শাস্তির বিধান রাখা হয়।