![](https://dailykurulia.com/wp-content/uploads/2024/05/hilsa-kurulianews.jpg)
দুই মাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। আবারও ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ শিকারে নদীতে নেমেছেন জেলেরা। গতকাল বুধবার (১ এপ্রিল) মধ্য রাত থেকে চাঁদপুরের হাইমচরের চরভৈরবী থেকে মতলবের ষাটনল পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনার ৭০ কিলোমিটার নদী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন চাঁদপুরের প্রায় অর্ধলাখ জেলে।
![](https://dailykurulia.com/wp-content/uploads/2024/05/images.jpg)
পুরানবাজার এলাকার জেলে সাজ্জাদ ও শফিক বলেন, ‘কিছুদিন কাজ করেছি জাল-নৌকা মেরামতের। এখন নদীতে ইলিশ না পেলে আমাদের দুঃখ-কষ্টের শেষ থাকবে না। এখন আল্লাহ ভালো জানেন, নদীতে ইলিশ পাব কিনা।’রনাগোয়াল এলাকার জেলে ইউসুফ হোসেন বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের যে পরিমাণ খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়, তা দিয়ে কিছুই হয় না। জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি, সন্তানদের পড়ালেখার খরচ চালানো আমাদের জন্য অসম্ভব।’
এদিকে জেলা মৎস্য অফিস জানিয়েছে, এবার ৫৭৫টি অভিযান, ১২৮টি মোবাইল কোর্ট, ৩৩৪ জন জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রায় ৫৩ দশমিক ৯১০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ৩ দশমিক ৪১৬ মেট্রিক টন জাটকা আটক করে দুস্থ ও এতিমদের মাঝে বিতরণ করে দেয়া হয়েছে। আর জরিমানা আদায় করা হয়েছে ছয় লাখ ৫০৫ টাকা।
দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল দুই মাসের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এ নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা, পরিবহণ, বিক্রি ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ২০০৬ সাল থেকে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের বিস্তীর্ণ নদী সীমাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।