সীমান্তের ওপারে ভারতে মেলা দেখতে গিয়ে আটক ১০ জনসহ ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে তারা দেশে ফেরেন। ভারতের আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন- চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার কদলপুর গ্রামের দুলাল নাথের ছেলে রুবেল কুমার নাথ, উত্তর গুজরা গ্রামের মিলন বিশ্বাসের ছেলে রাজিব বিশ্বাস, সুলতানপুর গ্রামের মিলন দের ছেলে শঙকর দে, একই গ্রামের বিষু দাসের ছেলে জয় দাস, কাজল দাসের ছেলে সঞ্জয় দাস, অনিল দাসের ছেলে উল্লাস দাস, সুকুমার চৌধুরী দাসের ছেলে দীপক দাস গুপ্তা, মন্টু রাম ঘোষের ছেলে রুমন ঘোষ, যোগেস ঘোষের ছেলে রুবেল ঘোষ, রনধীর দাসের ছেলে প্রান্ত দাস, একই জেলার হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম দেওয়ান নগরের মো. হোসেনের মেয়ে নাহিদা শেখ ও তার দুই শিশু সন্তান ফয়েজ ইসলাম শেখ এবং ফাইজা শেখ।
দেশে ফেরত আসা দীপক দাস গুপ্তা বলেন, আমরা ১০ জন খাগড়াছড়ির পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারতে ডংরু মেলায় ঘুরতে যাই। মেলা দেখে ওখান থেকে আগরতলায় একটি মন্দির দেখে ফেরার পথে আমাদের বহনকারী ভারতীয় গাড়িটির চালক আমাদেরকে নির্দিষ্ট গন্তব্যের পরিবর্তে স্থানীয় একটি থানায় নিয়ে যান। এরপর পুলিশ আমাদের আটক করে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত আমাদেরকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে এক মাসের সাজা দেয়। কারাভোগ শেষে আমরা একটি হোমে ছিলাম। সেখান থেকে ৪ মাস পর বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে আমরা আজ দেশে ফিরলাম।
দেশে ফেরত আসা নাহিদা শেখ বলেন, আমি, আমার স্বামী ও এক সন্তানসহ গত তিন বছর আগে স্বামীর চিকিৎসার জন্য অবৈধ পথে ভারতের মুম্বাই শহরে যাই। চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পথে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়ে ১ বছর কারাভোগ শেষে যখন হোমে ছিলাম তখন আমার আরেকটি সন্তান জন্ম হয়। গত ৬ মাস আগে ওখানে আমার স্বামীর মৃত্যু হলে সেখানেই দাফন-কাফন হয়। দীর্ঘ তিন বছর পর আমি আমার দুই সন্তানসহ আজ দেশে ফিরেছি।