সংসদ, আইন ও বিচার, নির্বাচন ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি, সংবিধান, পররাষ্ট্র, ধর্ম, শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ ১০টি খাতে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাবনা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
৯ অক্টোবর, বুধবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘রাষ্ট্র সংস্কার প্রস্তাবনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন দলটির নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
প্রস্তাবনায় ডা. তাহের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি এবং এ জন্য প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের আহ্বান জানান।
পাশাপাশি সংসদে বিরোধী দলের জন্য ডেপুটি স্পিকার নিয়োগের প্রস্তাব দেন। কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখার কথাও উল্লেখ করেন।
আইনশৃঙ্খলা খাতে সংস্কারের প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, পুলিশের ক্ষেত্রে ব্রিটিশ যুগের আইন বাতিল করা উচিত এবং পুলিশে নিয়োগে দলীয় হস্তক্ষেপ বন্ধ করা জরুরি। এছাড়া, পুলিশ ট্রেনিংয়ে ধর্মীয় শিক্ষার সংযোজন এবং পুলিশ বাহিনীকে মারণাস্ত্র দেওয়া বন্ধ করার প্রস্তাব দেন।
র্যাব সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে র্যাবে যারা কাজ করেছেন তাদের ফিরিয়ে আনা যাবে না এবং সংস্থাটির প্রতি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে সংস্কার প্রয়োজন।
ডা. মুহাম্মদ তাহের আরও বলেন, সংস্কৃতির সংস্কার করতে হবে। প্রাণীর মূর্তি নির্মাণ না করে দেশি সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে হবে। পররাষ্ট্র ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। বিগত সরকারের আমলে সম্পাদিত চুক্তি রিভিউ করতে হবে। এজন্য একটি রিভিউ কমিশন গঠন করা যেতে পারে। বাংলাদেশকে আসিয়ানের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।
