সেতু ভেঙে আখাউড়া-আগরতলা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

Spread the love

সেতু ভেঙে আখাউড়া-আগরতলা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার গাজীরবাজারের জাজির পুল এলাকার অস্থায়ী সেতুটি ভেঙে যায়। নতুন সেতু করার জন্য অস্থায়ী এ বেইলি সেতুটি করা হয়।

এদিকে স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন এলাকায় পানি উঠে যাওয়ায় যাত্রী পারাপার বন্ধ হয়ে গেছে।
সকাল ১০টা থেকে পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পারাপার বন্ধ রয়েছে।
ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর তলিয়ে যায়। পানি উঠেছে আশেপাশের অন্তত ১০টি গ্রামে।
পানির তোড়ে একটি অস্থায়ী সেতু ভেঙে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বানের পানিতে ডুবে বীরচন্দ্রপুর গ্রামে সুবর্না আক্নাতাট মে এল গর্ভবতী নারী মারা যান।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় ভারি বর্ষন শুরু হয়। সকাল থেকে বন্দরের পাশ বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে।
এক পর্যায়ে স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ অন্তত ৩৪টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। ভেঙে যায় গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী সেতু। এর আগে মঙ্গলবার খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর বাধের কিছু অংশ ভেঙ্গে পানি ঢুকতে শুরু করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ঘুরে দেখেন। সাথে ছিলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস কুমার চক্রবর্তী।
দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন জানান, সকালে তীব্র বেগে ভারতীয় পানি ঢুকতে থাকে। এতে কয়েকটি গ্রামে পানি উঠার পাশাপাশি আখাউড়া-আগরতলা সড়কের অস্থায়ী সেতু ভেঙে যায়। পুরো বন্দর এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।

ইউএনও গাজালা পারভীন জানান, বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকাবাসী মিলে বাধের অংশ মেরামত করেছেন। সেতুটি মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে দ্রুত যান চলাচলের উপযোগি করা যাবে না। তিনি জানান, পানিতে ৫২৪ টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে এ রিপোর্ট লেখার সময় শিক্ষার্থীদের একটি দল সেনাবাহিনী ও ইউএনও’র সঙে দেখা করতে যাচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে তারা আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।

অপরদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি ভারতের ত্রিপুরার চারটি নদীর পানি বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় একটি বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *