বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আর্জেন্টিনার সর্বশেষ দুটি ম্যাচে আপত্তিকর আচরণ ও ফিফার ফেয়ার প্লে নীতি ভাঙার কারণে মার্টিনেজকে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অক্টোবরের ফিফা উইন্ডোতে আর্জেন্টিনা ভেনেজুয়েলা (১০ অক্টোবর) এবং বলিভিয়ার (১৫ অক্টোবর) বিপক্ষে খেলবে। কলম্বিয়ার বিপক্ষে হারের পর দীর্ঘদিনের ছন্দে ছোট হোঁচট খেয়েছে লিওনেল স্কালোনির দলটি। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরবর্তী দুই ম্যাচে গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের অনুপস্থিতি।
শাস্তি পাওয়ার পর নিজের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এই আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। একইসঙ্গে তিনি ভবিষ্যতে কারও সঙ্গে ‘আক্রমণাত্মক’ কিছু না করার কথাও ব্যক্ত করেন।
বিষয়টি নিয়ে নিজের ইন্সটাগ্রাম পোস্টে মার্টিনেজ বলেছেন, ‘আমি আমার নিষেধাজ্ঞা মেনে নিচ্ছি এবং কাউকে আঘাত করে থাকলে সেজন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি। উদ্যাপনের ভঙ্গি অনেকের মুখে হাসি ফোটায় এবং সেখানে কাউকে আঘাত বা অসম্মান করার ইচ্ছা থাকে না।’
মার্টিনেজে উদ্যাপনের জন্য আগেও কম বিতর্ক হয়নি। পুরস্কার কিংবা বিশ্বকাপ/কোপা আমেরিকার ট্রফি নিয়ে তার অশালীন অঙ্গভঙ্গিতে বরং অনেকেই বিব্রত। যা নিয়ে আগে কখনও কথা বলতে দেখা যায়নি এমিকে।
নিষেধাজ্ঞার কারণে মাঠের বাইরে থেকে সতীর্থদের সমর্থন দেওয়ার কথাও জানালেন একটি বিশ্বকাপ এবং দুটি কোপা জয়ী এই গোলরক্ষক, ‘ফিফা উইন্ডোতে আমি আমার বন্ধুদের সমর্থন দেবো, যদিও নিজে খেলতে না পারার আক্ষেপ থাকবে। কাউকে অসম্মান করার কোনো ইচ্ছা কখনোই আমার ছিল না, এমনকি কোন ধরনের অঙ্গভঙ্গি তাদের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত মনে হয় সেটাও আমি জানি না। তবে আমি চেষ্টা করব আমার আচরণে যেন আর কেউ ব্যথিত না হয় এবং আমার পুরো মনোযোগ থাকবে আর্জেন্টিনা ও অ্যাস্টন ভিলার হয়ে শিরোপা জয়ের দিকে।’
মার্টিনেজকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে আলাদা দুটি ঘটনার কারণে। বিশ্বকাপের সেরা গোলকিপার প্রথম শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন ৬ সেপ্টেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে চিলির বিপক্ষে জেতা ম্যাচে। সেই ম্যাচের পর উদ্যাপন করতে গিয়ে কোপা আমেরিকার রেপ্লিকা ট্রফি নিয়ে অশালীন ভঙ্গি করেছিলেন।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ১১ সেপ্টেম্বর, কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে। কলম্বিয়ার কাছে হেরে যাওয়ার পর ক্যামেরা অপারেটরের সরঞ্জামে ধাক্কা দেন। জনি জ্যাকসন নামের সেই অপারেটর পরে কলম্বিয়ান সংবাদমাধ্যমে জানান, তিনি মার্টিনেজের হাতে ‘লাঞ্ছিত’ হয়েছেন এবং এ ঘটনায় তিনি ‘খুবই ক্ষুব্ধ’।
