বন্যার্তদের পাশে বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরামের চিকিৎসাসেবা

Spread the love

হঠাৎ সৃষ্ট বন্যা কবলিত মানুষের চিকিৎসা ও ওষুধ সহযোগিতায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছে বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম। এসময় হতদরিদ্রদের নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

২৬ আগস্ট সোমবার বন্যাদুর্গত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা বায়েক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়ার শশীদল ইউনিয়নের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্র ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করেন তারা।

দিনব্যাপী এই কর্মসূচীতে কয়েকশত মানুষের মাঝে ফ্রি মেডিকেল সেবার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ঔষুধ ও নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে।

বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম আয়োজিত এই কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রশিদ খাঁন, সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুল হাসান শান্ত, সহ-সভাপতি এবিএম মোর্শেদ কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মুজিবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক শাহনেওয়াজ শাহ ও আবুল কাশেম।

মেডিকেল ঠিমে ছিলেন, বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট এসোসিয়েশন,( বিডিপিএ), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফার্মাসিস্ট মোঃ আলমগীর কবির, বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্বাস্থ্য সহকারী এসোসিয়েশন বিজয়নগর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ আলাল উদ্দিন, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহিন আলম, স্বাস্থ্য সহকারী মোঃ সফিউল্লাহ, মোঃ মাসুকুর রহমান,মোঃ ইকবাল হোসেন।

বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম আয়োজিত মেডিকেল ঠিম ও প্রয়োজনীয় ঔষুধ সেবা ফ্রি প্রদানে হঠাৎ সৃষ্ট বন্যা কবলিত মানুষের মনে সাহস ও ভরসা সৃষ্টি করে।

সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে অনেকেই বলেন, এমন বন্যা কখনো আমাদের অঞ্চলে হয়নি। আমরা বন্যা মোকাবেলা করার তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই। সৃষ্ট বন্যার পর থেকে সারাদেশে মানুষ শুকনো খাবার ও কিছু সময় রান্না করা খাবার নিয়ে সহযোগিতা করতে আসলেও এতদিনে কেউ চিকিৎসা সেবা দিতে আসেনি। আমাদের এলাকার সব ফার্মেসী বন্ধ। যোগাযোগ সমস্যার কারনে চিকিৎসা নিতে বাহিরেও কোথাও যেতে পারছি না। শিশু থেকে বৃদ্ধ অধিকাংশ লোক পানিবাহিত রোগ আক্রান্ত রয়েছে। আবার শুকনো খাবার বা বাহিরের রান্না করার খাবারের কারনে অনেকে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে। আপনাদের এই সেবার মাধ্যমে মানুষের মনে বেঁচে থাকার প্রাণ সঞ্চয় হয়েছে।

বিজয়নগর উপজেলা নাগরিক ফোরাম এর সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুল হাসান শান্ত বলেন, সৃষ্ট বন্যার পরিস্থিতি সরেজমিনে না আসলে এর ভয়াবহতা কেউ অনুধাবন করতে পারবে না। সারাদেশে থেকে মানুষ খাবার নিয়ে আসছে দেখে আমরা খাবার না এনে চিকিৎসা সেবা, প্রয়োজনীয় ঔষুধ ও নগদ কিছু অর্থ সহযোগিতার মাধ্যমে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *