৩৪ শটের রেকর্ড টাইব্রেকার জিতে ইউরোপা লিগে আয়াক্স

Spread the love

জয় নিশ্চিত হওয়ার পর আয়াক্স ফুটবলাররা উল্লাস মেতে ওঠেন গোলরক্ষক রেমকো পাসভিরকে নিয়ে। খেলার সেই পর্যায়ে তখন গোলকিপারই একটি দলের জন্য মূল ভরসার জায়গা।

সেখানে পাসভির হতাশ করলে না। ৩৪ শটের রেকর্ড টাইব্রেকারে পাঁচটি সেভ দিয়ে নায়কে পরিণত হন তিনি। আয়াক্সও ১৩-১২ ব্যবধানে পানাথিনাইকোসকে হারিয়ে পা রাখে ইউরোপা লিগের মূল পর্বে।

ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার কোনো ম্যাচেই পেনাল্টি শুটআউট এতো দীর্ঘ হয়নি। ২০০৭ সালে অনূর্ধ্ব-২১ ইউরোতে ৩২ শটের টাইব্রেকার দেখা গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস-ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচে। বিশ্বরেকর্ড ভাঙার পথটা অবশ্য আরও দূরে। ইসরায়েলের তৃতীয় স্তরের লিগে দিমোনা ও শিমশনের মধ্যকার ম্যাচের ফল বের করতে ৫৬ শটের টাইব্রেকার অনুষ্ঠিত হয়।

আমস্টেরডামে বিশ্বরেকর্ড না হলেও হয়েছে ইউরোপিয়ান রেকর্ড। বাছাইপর্বের প্রথম লেগে ১-০ গোলে জেতে আয়াক্স। দ্বিতীয় লেগে ড্রয়ের পথেই এগোচ্ছিল ম্যাচ। কিন্তু ৮৯ মিনিটে তেতের গোলে নাটকীয়ভাবে এগিয়ে যায় পানাইথিনাইকোস। দুই লেগ মিলিয়ে ১-১ ব্যবধান থাকায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে।

যেখানে দুটি দলই শট নেয় ১৭টি করে। ছয়জন ফুটবলার দুবার করে শট নেন। দুবারই সেখানে গোল করতে ব্যর্থ হন আয়াক্সের ব্রায়ান ব্রোভি। কিন্তু তা সত্ত্বেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। ডাচ ক্লাবটির হয়ে টাইব্রেকারে জয়সূচক গোলটি করেন আন্তোন গায়েই। পুরো টাইব্রেকারে সময় ব্যয় হয় ২৫ মিনিট।

ম্যারাথন টাইব্রেকারে জয়ের পর আয়াক্স কোচ ফ্রান্সেসকো ফারিওলি বলেন, অবিশ্বাস্য। আজ রাতে দলের উদ্দীপনা ও নিবেদন ছিল অসাধারণ। আমরা নিখুঁত ছিলাম, তবে এটা বলতে পারি না যে, খেলোয়াড়রা তাদের সবটুকু দেয়নি। এমন একটি ম্যাচের পর পেনাল্টি শুটআউটে যাওয়াটা কঠিন। হয়তো একটু বেশি সময় লেগেছে। তবে আত্মবিশ্বাসের জন্য এটা খুবই জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *