কেরালায় ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৫০

Spread the love

ভারতের সর্বদক্ষিণের রাজ্য কেরালার মেপ্পেদি গ্রামের যে এলাকায় ভূমিধস ঘটেছে, সেখান থেকে এ পর্যন্ত ৫০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৭০ জনেরও বেশি মানুষকে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দেশটির কেরালা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মেপ্পেদির যে এলাকায় শালিয়ার নদী। একটানা ভারী বর্ষণের কারণে নদীর পানি ও স্রোত— উভয়ই বেড়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, যে এলাকায় ভূমিধস হয়েছে, সেখানকার বেশ কিছু মানুষ সেই নদীতে ভেসে গেছে।

রাজ্য সরকারের বনমন্ত্রী এ কে শশীন্দ্রন রয়টার্সকে বলেন, “এখানকার পরিস্থিতি বেশ গুরুতর। দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের কর্মীদের সহযোগিতা করতে সরকারের সব বাহিনী এগিয়ে এসেছে।”

এদিকে ভারী বর্ষণ ও পানির স্রোতে শালিয়ার নদীর সেতু ধ্বসে যাওযায় শুরুর দিকে ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে উদ্ধার তৎপরতা। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অস্থায়ী দড়ির সেতু তৈরি করার পর তৎপরতায় গতি আসে।

মেপ্পেদি গ্রামের পাহাড়ি এলাকার বিশাল জায়গাজুড়ে ঘটেছে এই ভূমিধস। গ্রামের নিকটবর্তী শহর চুরালমালাও এই ভূমিধসে প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন শশীন্দ্রন।

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। এত বড় দুর্ঘটনায় মেপ্পেদিতে শোক নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল এশিয়ানেট টিভিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।

কেরালার এই অঞ্চলটি চা এবং এলাচ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। রশিদ পাড়িক্কালপারামবান নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা রয়টার্সকে জানান, সোমবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত ভারী বর্ষণের পাশাপাশি মোট তিন দফা ভূমিধস ঘটেছে ওই এলাকায়। ওই সময়ই ভেঙে পড়ে শালিয়ার নদীর সেতুটি।

“গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি চা ও এলাচ বাগানে কাজ করার জন্য বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক পরিজায়ী শ্রমিক মেপ্পেদিতে আসেন। শালিয়ার নদীর তীরে তাঁবু গেড়ে থাকেন তারা। গতকালের ভূমিধস ও বৃষ্টিতে তাদের অনেকেই নদীতে ভেসে গেছেন,” রয়টার্সকে বলেন রশিদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *