দীর্ঘ সাত বছর পর বসছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের মাটিতে টুর্নামেন্টটি হওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সম্ভাব্য সূচি আইসিসির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে এ প্রতিযোগিতায় খেলতে পাকিস্তানে দল পাঠাবে না মোদি সরকার। ফলে বদলে যেতে পারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভেন্যু।
১১ জুলাই, বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বিসিসিআইয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫ এর জন্য ভারতীয় দল পাকিস্তানে যাবে না। আইসিসিকে ভারতীয় বোর্ড তাদের ম্যাচগুলো দুবাই বা শ্রীলঙ্কায় স্থানান্তর করার জন্য অনুরোধ করবে।
শেষ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ রয়েছে। দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপড়েনের কারণে আইসিসি বা এসিসির কোনো টুর্নামেন্ট ছাড়া দুই দলের ম্যাচ দেখা যায় না। পাকিস্তান বিশ্বকাপ খেলতে ভারত সফর করলেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকছে বিসিসিআই।
সবশেষ এশিয়া কাপেও পাকিস্তানে যায়নি ভারত। শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে ভারতের ম্যাচগুলো আয়োজন করা হয়েছিল শ্রীলঙ্কার মাটিতে।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার শেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজটি হয়েছিল ভারতের মাটিতে ২০১২-২০১৩ সালের ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে। তারপর থেকে আইসিসির ইভেন্ট ছাড়া মুখোমুখি হয়নি দুই দল।
পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে মে মাসে বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার অনুমতি দিলেই ভারতীয় দল টুর্নামেন্টের জন্য পাকিস্তান সফর করবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্ষেত্রে, ভারত সরকার আমাদের যা করতে বলবে আমরা তাই করব। ভারত সরকার অনুমতি দিলেই আমরা আমাদের দল পাঠাব। তাই আমরা ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যাব।
এদিকে, এশিয়া কাপের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারত নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকলে বেশ চাপেই পড়তে হবে পাকিস্তানকে। ভারত যদি পাকিস্তানে যেতে না চায়, সেক্ষেত্রে বাধ্য হয়েই হয়ত আইসিসিকে ম্যাচের ভেনু বদলাতে হবে। তবে এবার সব ম্যাচ নিজেদের মাটিতে আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর পিসিবির চেয়ারম্যান মহসীন নকভী।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি অনুষ্ঠিত হবে। আর এ প্রতিযোগিতায় যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে সদ্য বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের কাছে। কারণ ২০১৭ সালের ফাইনালে উঠলেও হারতে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে। এবার অবশ্য বিরাট-রোহিতদের দল আরও অনেক শক্তিশালী, সেটি গত ওডিআই বিশ্বকাপ এবং টি২০ বিশ্বকাপে বুঝিয়ে দিয়েছেন কোহলি-রোহিতরা।