কোপার ফাইনালে আর্জেন্টিনা

Spread the love

অবশেষে গোলের দেখা পেলেন লিওনেল মেসি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে কানাডার বিপক্ষে এই গোলের মধ্যদিয়ে টানা ছয় কোপা আমেরিকায় গোল করলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল যাদুকর। মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় এটি তার ১৪তম গোল। এর আগে ম্যাচের ২২ মিনিটে প্রথম গোল পায় আর্জেন্টিনা। গোল করেন নাম্বার নাইন হুলিয়ান আলভারেজ। এই দুই গোলে কানাডাকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় ও শেষ আট কোপা আমেরিকার ষষ্ঠ বারের মতো ফাইনালে উঠলো আর্জেন্টিনা।

২০২১ কোপা আমেরিকা জয়ের পর ২০২২ বিশ্বকাপও জিতেছে আর্জেন্টিনা। এবারও লাতিন আমেরিকান শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে শিরোপা ঘরে রেখে দেওয়ার সুযোগ স্কালোনির দলের সামনে।

গত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সেমিফাইনাল ম্যাচে তাকালে কেউ কেউ দুয়ে দুয়ে চারও মিলিয়ে নিতে পারেন। আজকের মতো ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সে ম্যাচেও আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করে ছিলেন মেসি ও আলভারেজ!

এবার কোপায় অভিষিক্ত কানাডা ম্যাচের প্রথম ১০ থেকে ১৫ মিনিট বেশ ভালোই খেলেছে। তবে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে আর্জেন্টিনার রক্ষণের সামনে এসে। স্কালোনির দল গুছিয়ে নিতে একটু সময় নিয়ে প্রথম গোল আদায় করে নেয় কুড়ি মিনিট পরই। কানাডার রক্ষণে বক্স থেকে বেশ সামনে দুই ডিফেন্ডার অ্যালিস্টার জনস্টন ও ময়েস বোম্বিতোর মাঝে ওত পেতে ছিলেন আলভারেজ।

অপেক্ষা ছিল শুধু একটি থ্রু পাসের। ব্যাপারটা বুঝতে পেরেই সম্ভবত মাঝ মাঠ থেকে বল বাতাসে ভাসিয়ে আলভারেজের সামনে ফেলেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার রদ্রিগো দি পল। ডান পায়ে বলটি দারুণভাবে রিসিভ করে এক ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে ঠান্ডা মাথায় গোল করেন আলভারেজ। ডিয়েগো ফোরলান, রোমারিও ও মেসির পর চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে কোপা আমেরিকা ও বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে গোল করলেন ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ড।
প্রথমার্ধের ৪৪ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। কানাডার বক্সে ফেলা দি মারিয়ার পাস আলভারেজ ডামি করলে বল পেয়ে যান মেসি। প্রথম টাচে ডিফেন্ডার জনস্টনকে কাবু করে শট নিলেও সেটি পোস্টের বাইরে ছিল। এবার কোপায় নিজের প্রথম গোলটি তুলে নিতে মেসিকে অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ৫১ মিনিটে কাঙ্খিত গোলের দেখা পান মেসি। মেসি বক্সে থাকা অবস্থায় কানাডার এক ডিফেন্ডার রক্ষণে বেশি নিচে নেমে যাওয়ায় আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে আর অফসাইড নিয়ে ভাবতে হয়নি। এনজো ফার্নান্দেজ বক্সের জটলার মধ্যে শট নিলে মেসি তাতে শুধু পা–টা ছুঁইয়েছেন। বল জালে! কানাডা অফসাইডের অভিযোগ তোলায় ভিডিও রিপ্লে দেখে গোল বহাল রাখেন রেফারি। ব্রাজিলের জিজিনিও–র পর কোপা আমেরিকার ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ছয়টি আলাদা টুর্নামেন্টে গোল করলেন মেসি।

দুই গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর ৬৮ মিনিটে আরও বাজে পরিস্থিতিতে পড়ে কানাডা। পায়ের চোটে মাঠ ছাড়েন কানাডা তারকা আলফোন্সো ডেভিস। ম্যাচের ৮৯ থেকে ৯০ মিনিটে গোল করার দুটি সুযোগ পেয়েছে কানাডা। ৮৯ মিনিটে বদলি নামা তানি ওলুয়াসারির বক্সের মাথা থেকে নেওয়া শট দুর্দান্তভাবে পা দিয়ে ঠেকান আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *