কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে দেশব্যাপী ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালনের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা।
৮ জুলাই, সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এতে করে আশপাশের সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে হাইকোর্টের দেওয়া প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের আদেশের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অষ্টম দিনে এই কর্মসূচির জন্য জড়ো হতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে বিকেল সোয়া ৪টায় তারা শাহবাগে এসে জড়ো হন।
শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা ‘একাত্তরের পথ ধরো, বাংলা ব্লকেড সফল করো’, ‘ব্লকেড ব্লকেড, বাংলা ব্লকেড’, ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
একই দাবিতে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় ও নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া চানখারপুল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠার রাস্তা অবরোধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে।