সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পূনর্বহালের দাবিতে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ডাকে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
৮ জুলাই, সোমবার বিকেল ৩টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ শুরু করেন তারা।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান লাবিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন অযৌক্তিক। তবে আন্দোলন অযৌক্তিক না, বরং সরকারি চাকরিতে কোটা থাকা অযৌক্তিক যা মেধাবীদের বঞ্চিত করে। সংবিধানে সমতা প্রতিষ্ঠার কথা বলা হলেও কোটা প্রথা মূলত বৈষম্য তৈরি করছে। তাই আমরা কোটা প্রথার সংস্কার চাচ্ছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদ সিয়াম বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিল সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তবে একটি কুচক্রীমহল বারবার বলার চেষ্টা করছে বা অপপ্রচার চালাচ্ছে, আন্দোলনকারীদের ওপর নাকি জামায়াত-বিএনপি ভর করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধের বিষয়টি জেনেছি। তবে যেহেতু দেশব্যাপী আন্দোলন চলছে। সেহেতু আমি নৈতিকভাবে শিক্ষার্থীদের বাঁধা দিতে পারি না। আমরা শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের জন্য বলেছি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে- ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করতে হবে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।