বাংলাদেশ ও চীন নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কীভাবে কাজ করবে তা নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিঙ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন বেইজিং সফর উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এক বার্তায় এ কথা জানান চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। ঢাকায় চীনের দূতাবাস এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে।
মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৮ থেকে ১০ জুলাই চীনে রাষ্ট্রীয় সফর করবেন। এই সফরে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
চীনের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। দুই দেশের মধ্যে যেসব দলিল সই হবে সেখানে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে সামিট অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন।
মাও নিঙ বলেন, দুই দেশ কীভাবে এগিয়ে যেতে পারে এবং দুই পক্ষ নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কীভাবে কাজ করবে, এই সফরে তা নির্ধারণ হবে। এই সফরের মধ্য দিয়ে চীনের বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগসহ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক নিয়ে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে। এই সফরের মধ্য দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উত্তীর্ণ হবে।
এরই মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ-চীন সহযোগিতার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে ভালো উদাহরণ সৃষ্টি করতে পেরেছে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।