কোটা নিয়ে আন্দোলন আদালতবিরোধী বলে মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সরকার বাতিল করেছিল, আদালত বহাল রেখেছেন। কোটা নিয়ে আদালতের রায় আদালত হয়েই সমাধান করতে হবে।
৪ জুলাই, বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাবে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারসাম্যর পররাষ্ট্রনীতি ও বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন’ বিষয়ে আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয় নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, পেনশন ব্যবস্থা সবার জন্য করা হয়েছে। আশা করি শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। ভারতের পণ্য বাংলাদেশের ভুখণ্ড ব্যবহার করছে এতে বাংলাদেশেরও উপকার হচ্ছে। ট্যারিফ পাচ্ছে। ভারতের সহযোগিতায় রেল ও সড়ক পথের উন্নয়ন হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়- বাংলাদেশের এই পররাষ্ট্রনীতি অনুযায়ী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
তিনি আরও বলেন, এ দেশের সঙ্গে ভারত ও চীনের সুসম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দেয়নি, তারাও এদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে।
বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, দেশের কানেক্টিভিটি নিয়ে সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবার কোনো সম্পর্ক নেই। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর মানে সার্বভৌমত্ব নষ্ট নয়। দেশের উন্নয়নের সুবিধা ভোগ করেও বিএনপি সরকারের সমালোচনা করে।
তিনি বলেন, মধ্যরাতে লন্ডন থেকে পদ চলে যাওয়ার ভয়ে বিএনপি নেতারা তারেক আতঙ্কে ভুগছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা সফল হয়নি।
এসময় পেনশন, কোটাব্যবস্থা আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে যুক্ত হয়ে রাজনীতিতে বিএনপি পরজীবি হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি হাইকোর্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে সরকারের পরিপত্র অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে পেনশন স্কিম প্রত্যয় চালু করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন। ১ জুলাই থেকে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মবিরতি চলছে।