ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অব্যবস্থাপনা, অপরিচ্ছন্নতা এবং খাবারের মান দিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এ অবস্থায় আজ শনিবার আইনমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনিসুল হকের নির্দেশে আখাউড়া পৌরসভার মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজলের নেতৃত্বে দিনব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভিডিও কলে এ কার্যক্রম দেখেন আইনমন্ত্রী। হাসপালের অপরিচ্ছন্ন অবস্থা দেখে ক্ষুদ্ধ মন্ত্রী প্রশ্ন করেন, এই হাসপাতালে মানুষের চিকিৎসা হয় নাকি ময়লার?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর মেয়র তাকজিল খলিফার নেতৃত্বে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু, পৌর কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক, আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামসহ জনপ্রতিনিধি এবং ছাত্র-যুবককের একটি দল বেলা ১১টা থেকে হাসপাতাল পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেন। এ সময় হাসপাতালের প্রবেশমুখ থেকে কয়েক টন আবর্জনা অপসারণ করা হয়। দলটিতে অন্তত ৭০ জন অংশগ্রহণ করেন। বিকেল পৌনে চারটা পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চলে।
পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, ‘আইনমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা পরিচ্ছতা অভিযানে অংশ গ্রহণ করি। আজ বেলা ৩টা পর্যন্ত হাসপাতালের রোগীদের খাবার দেওয়া হয়নি। খাবার তৈরির ঘরে গিয়ে সেটি তালাবদ্ধ দেখতে পাই। পরে দায়িত্বরত বাবুর্চির ঘরে গিয়ে দেখতে চাই সেখানে ১ কেজির কম চালের ভাত এবং পাঙ্গাস মাছের ছোট ছোট কয়েকটি পিস রোগীদের জন্য রাখা আছে। যা খাবার অযোগ্য। যদিও আমার দেখা মতে অন্তত ৪০ জনের মতো রোগী তখনো হাসপাতালে ভর্তি ছিল।’
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান ভূইয়া বেলা তিনটা পর্যন্ত খাবার না পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘নিন্মমানের খাবার পরিবেশনের বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে অবহিত করব। টেন্ডার জটিলতায় আমরা অব্যবহৃত জিনিসগুলো প্রবেশমুখ থেকে সরাতে পারিনি। মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশ পেয়ে ইতোমধ্যে আমরা সির্ভিল সার্জনকে বিষয়টি অবহিত করেছি।’