রাশিয়ার গণমাধ্যম নিষিদ্ধ করার পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এবার ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৫ দেশের ৮০টিরও বেশি গণমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করেছে ক্রেমলিন।
মস্কোর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এ গণমাধ্যমগুলো রাশিয়াবিরোধী খবর প্রচার করছে, সেই সাথে ভুল তথ্যও দিচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে অসত্য তথ্য ছড়ানোর অভিযোগও রয়েছে এ সংবাদমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে।
রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে, ফরাসি সংবাদসংস্থা এএফপি, জার্মানির স্পিগেল, স্পেনের এল প্যারিস, অস্ট্রিয়া, ইতালি এবং ইতালির জাতীয় সংবাদসংস্থা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর ওপরও।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ সিদ্ধান্তের পেছনে মে মাসের একটি ঘটনা আছে। সে সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার চারটি গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। যার মধ্যে ছিল, ভয়েস অফ ইউরোপ, আরআইএ নিউজ এজেন্সি এবং ইজভেস্টিয়া এবং রসিয়স্কায়া গেজেটা সংবাদপত্র। পশ্চিমাদের অভিযোগ ছিল, ক্রেমলিনের হয়ে প্রোপাগান্ডা করছে ওই গণমাধ্যমগুলি। প্রাগের ভয়েস অফ ইউরোপও সেই তালিকায় আছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এই সংঘাতের শুরু এবং তখন থেকেই মস্কো একে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ নামে আখ্যায়িত করে আসছে। কেউ একে যুদ্ধ বললে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে পশ্চিমা অধিকাংশ গণমাধ্যমই একে যুদ্ধ বলছে। মস্কো জানিয়েছে, তারা এই পদক্ষেপ ফিরিয়ে নিতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে ইইউ যে গণমাধ্যমগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা তুলে নিতে হবে।