সুপার এইটে বাংলাদেশ

Spread the love

প্রায় ১৭ বছর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে সুপার এইটে খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর পেরিয়েছে সাতটি আসর। তবে গ্রুপ পর্বের বাধা উৎরানো হয়নি। এবার নেপালকে উড়িয়ে সেই আক্ষেপ ঘুচালো বাংলাদেশ। দ্বিতীয়বারের মতো শেষ আটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো শান্ত বাহিনী। দারুণ জয়ে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গী হয়ে সুপার এইটে নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ।
সোমবার (১৭ জুন) কিংসটাউনের আর্নস ভেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯ দশমিক ৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১০৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। জবাবে ৪ বল বাকি থাকতেই সবকটি উইকেট হারিয়ে ৮৫ রানে থামে নেপাল। ২১ রানের জয়ে শেষ আট নিশ্চিত করল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
মামুলি পুঁজি তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নেপালের। দলীয় ৯ রানের মাথায় জোড়া উইকেট খুইয়ে বসে তারা। ৮ বলে ৪ রানে কুশল এবং রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন অনিল শাহ।
উইকেটে এসে দ্রুতই বিদায় নেন অধিনায়ক রোহিত। সাকিবের বলে রিশাদের মুঠোবন্দি হয়ে ৬ বলে ১ রানে ফেরেন তিনি।
এরপর আঘাত হানেন মোস্তাফিজ। দলীয় ২৪ রানের মাথায় ১৪ বলে ১৭ রানে থাকা আসিফকে ফেরান কাটার মাস্টার।
দ্রুতই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নেপাল। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি আইসিসির সহযোগী দেশটি।
এরপর কুশল মাল্লা ও দিপ্রেন্দ্র মিলে খানিকটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন। এই জুটির অবিচ্ছিন্ন ৫২ রানে স্বপ্ন বুনেছিল নেপাল।
তবে দলীয় ৭৬ রানে শান্তর মুঠোবন্দি করে কুশলকে ফেরান মোস্তাফিজ। ফেরার আগে ৪০ বলে ২৭ রানের ইনিংস সাজান এই ব্যাটার। অন্যদিকে চেষ্টা করলেও জয় দিয়ে রাঙাতে পারেননি দিপেন্দ্র। ৩১ বলে ২৫ রানে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার।
দলীয় ৮৫ রানে দিপেন্দ্র ফেরার পর আর কোনো রানই তুলতে পারেনি নেপাল। বিপরীতে ৪ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে গেছে তাদের ব্যাটিং লাইন-আপ।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নেপালের বিপক্ষে মাত্র ১ বলই টিকেছে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। সোমপালকে ইনিংসের প্রথম বলেই ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে খেলতে চেয়েছিলেন তানজিদ। তবে নিয়ন্ত্রণে পাননি। এতে পরাস্তও হন এই ওপেনার

এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে দীপেন্দ্র ঐরীর ফুললেংথের বল বুঝতেই পারেননি শান্ত। দ্রুতই ফেরেন টাইগার দলপতি। এতে দুই ওভারে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই তৃতীয় উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। জোড়া উইকেট হারানোর পর দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি লিটন। উল্টো চাপ কমাতে শট হাঁকিয়ে বিপদ বাড়ান উইকেটকিপার এই ব্যাটার। সোমপালের শর্ট বলে খাড়া ওপরে তোলার পর আর বাঁচেননি। যথেষ্ট সময় নিয়ে ক্যাচ নেন কিপার আসিফ শেখ।
তানজিদ, শান্ত, লিটনের পর প্যাভিলিয়নে ফেরেন হৃদয়ও। এতে পাওয়ার প্লেতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। খানিকটা দূরের বলে হাঁটু গেড়ে খেলে বাউন্ডারি হাঁকান হৃদয়। পরের বলে রোহিতের ফের চড়াও হতে চেয়েছিলেন। এবার পরাস্ত। বিহাইন্ড দ্য স্কয়ারে ক্যাচ নেন সন্দীপ লামিচানে

চাপ সামলে জুটি গড়েছিলেন সাকিব-রিয়াদ। তবে রানআউটের ফাঁদে পড়ে রিয়াদ ফিরলে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি এই জুটি। এতে ৫২ রানেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর সাকিবও ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। রোহিতকে ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে মিস করেন সাকিব। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি।
এরপর লামিচানের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তানজিম। অন্যপ্রান্তে ২৬ বলে ১২ রান করে দ্রুতই ফেরেন জাকের আলিও। শেষ দিকে তাসকিন এবং রিশাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ১০৬ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *