সেদিন গুলির শব্দে জেগে উঠেছিলেন সালমান খান

Spread the love

গত ১৪ এপ্রিল ভোরে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় সালমানের বাড়ির বাইরে দুজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি গুলি চালায়। এরপর হেলমেটের আড়ালে মুখ ঢেকে মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তারা। গুলি চালানোর ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুই মাস হয়ে গেছে সালমান খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনার। তদন্তের সার্থে এবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সালমান খান ও তার ভাই আরবাজ খানকে।
সালমান জানান, সেদিন আসলে কী ঘটেছিল সেই প্রসঙ্গে। সালমান বলেন, ‘সেদিন বাড়িতেই ছিলেন তিনি। এক পার্টি শেষ করে ঘুমাতে দেরী হয়েছিল। ব্যালকনিতে বুলেটের আঘাতের শব্দে ঘুম ভাঙ্গে তার। তিনি ব্যালকনিতে যেয়ে বাইরে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পাননি সেখানে।’ বিবৃতিতে, সালমান খান বাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনায় তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলেও জানা গিয়েছে
এদিকে পুলিশকে দেওয়া বয়ানে আরবাজ বলেছেন, ‘এর আগে কেউ একটা হুমকি চিরকুট রেখে গিয়েছিল, যা বাড়ির বাইরে পাওয়া গিয়েছিল এবং বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যরা পানভেলের ফার্মহাউসে রেকি করেছিল। এটি (গুলিবর্ষণ) তৃতীয় ঘটনা এবং পুলিশের এটিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।’
মুম্বাই পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মতে, সালমান এবং তার পরিবারের সদস্যরা বান্দ্রা ওয়েস্টের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে ছিলেন, যখন বন্দুকবাজরা পাঁচ থেকে ছয় রাউন্ড গুলি চালায়। সালমান পুলিশকে জানিয়েছেন, গুলির শব্দ শুনে তিনি জেগে উঠেছিলেন। কী হচ্ছে দেখার জন্য গ্যালারিতে গিয়ে দেখেন বাইরে কেউ নেই।
কিছুক্ষণ পর ভবনে নিয়োজিত নিরাপত্তারক্ষীরা তার বাড়ির কাছে যান এবং বাইরে ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন। অভিনেতা তার বিবৃতিতে পুরো সিকোয়েন্সটি বর্ণনা করেছেন এবং প্রকাশ করেছেন যে, লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং তাকে অন্যায়ভাবে টার্গেট করেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারকাণ্ডে সালমান খানের নাম জড়িয়েছিল। এর বদলা নিতে সালমানকে খুনের হুমকি দেয় লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠী। গত বছর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানিয়েছিল, জেলবন্দি গ্যাংস্টার বিষ্ণোই যে ১০ জনকে হত্যার তালিকায় রেখেছে, তাদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে সালমানের নাম। তারপর থেকেই সালমানকে নানা ভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে এই গ্যাংস্টার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *