তরুণ ফরোয়ার্ড এন্ড্রিকে ভর করে সাম্প্রতি ইংল্যান্ড আর মেক্সিকোর বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছিল ব্রাজিল। স্পেনের বিপক্ষেও পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। উড়ন্ত সেই ব্রাজিল কোপা আমেরিকার আগে শেষ ম্যাচে হোঁচটই খেয়েছে।
দোরিভালের দল অপরাজিতই আছে। তবে এমন ম্যাচে সমর্থকদের মন জুড়িয়েছে কি না তা প্রশ্ন। ফ্লোরিডায় ক্যাম্পিং ওয়াল্ড স্টেডিয়ামে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। কোপা আমেরিকা শুরুর আগে এটাই ছিল ব্রাজিলের শেষ প্রীতি ম্যাচ।
ব্রাজিলের হয়ে গোল পেয়েছেন তাদের নতুন নাম্বার টেন রদ্রিগো গোয়েজ। ১৭ মিনিটে রাফিনিয়ার পাস থেকে বাঁ পায়ের নিচু শটে গোল করেন রিয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গার। এই গোলের ৯ মিনিট পরই সমতায় ফেরে যুক্তরাষ্ট্র। মিডফিল্ডার হোয়াও গোমেজ ফাউল করায় ফ্রি কিক পেয়েছিল স্বাগতিকেরা। মানবদেয়ালের নিচ দিয়ে মাটি কামড়ানো এক ফ্রি-কিকে যুক্তরাষ্ট্রকে সমতাসূচক গোলটি এনে দেন এসি মিলান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ।
কোপার আগে শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ব্রাজিলের কোচ দোরিভাল জুনিয়র নামিয়েছিলেন তার সম্ভাব্য সেরা একাদশকেঅ। কিন্তু খেলার বিচারে প্রথমার্ধে দাপট ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। ৭ মিনিটের আগেই দুই পেয়ে যেতে পারত তারা। ৪ মিনিটের মাথায় ইউনুস মুসাহ দুরপাল্লার শট অ্যালিসন বেকারকে পরাস্ত করে। তবে ব্রাজিল বেঁচে যায় ভাগ্যের গুণে। ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে সেই শট। মিনিট দুয়েক পর পুলিসিচের দুরপাল্লার শট জমা পড়ে অ্যালিসন বেকারের হাতে।
ব্রাজিল যে সুযোগ পায়নি তা না। তবে সুযোগটা একেবারে সহজও ছিল না। ১৪তম মিনিটে ভিনিসিয়ুস দর্শনীয় কিছু করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তা কাজেই আসেনি। ১৭ মিনিটেই অবশ্য লিড পেয়ে যায় ব্রাজিল। জোসেফ স্ক্যালিকে বিট করে সামনে অনেকটা ফাঁকায় চলে গিয়েছিলেন রদ্রিগো। তাকে দারুণ এক পাস বাড়ান রাফিনিয়া। দারুণ শটে সেটাইকেই গোলে পরিণত করেন রদ্রিগো।
এর খানিক পরেই সমতায় ফেরে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াও গোমেজের ফাউলের সুবাদে ডিবক্সের ঠিক বাইরে ফ্রিকিক পায় যুক্তরাষ্ট্র। মাটি কামড়ানো শটে সকলকে বোকা বানিয়ে গোল করেন পুলিসিচ। জাতীয় দলের হয়ে এটি তার ২৯তম গোল। প্রথমার্ধের বাকি সময়টা দুই দলই পার করেছে দুরপাল্লার এলোমেলো শটে। ১-১ গোলে সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের সব আলো কেড়ে নিয়েছেন অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক ম্যাট টার্নার। যুক্তরাষ্ট্রের এই গোলরক্ষক অন্তত এক হালি গোল হজম থেকে দলকে বাঁচিয়েছেন। রদ্রিগোর ভলি গিয়েছে বারের ওপর দিয়ে। ভিনিসিয়ুস মেরেছেন গোলবারের বাইরে। ব্রাজিলও কম সুযোগ মিস করেনি। হালের তরুণ সেনসেশন এন্ড্রিক তো মাঠে নেমেই আরেকবার গোল করে বসেছিলেন। কিন্তু আটকেছেন ম্যাট টার্নারের লম্বা হাতের কাছে। শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের তাই গোল আর পাওয়া হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রও এবারে ছিল কিছুটা নিষ্প্রভ। এরমাঝেও অবশ্য পুলিসিচ সহজ সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে অ্যালিসন বেকারের দুর্দান্ত সেইভে মান বাঁচায় ব্রাজিল। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের ড্রতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুই দলকে।