দেশের যে কোনো নাগরিক আইন ভঙ্গ করলে তার যেমন বিচার হয় ড. ইউনূসেরও সেভাবেই বিচার হচ্ছে। তবে তিনি বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে যেসব কথা বলে বেড়াচ্ছেন তা অসত্য এবং এসব কথা বাংলাদেশের জনগণের জন্য অপমানজনক বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
১২ জুন, বুধবার সচিবালয়ে রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই মন্তব্য করেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। আইন মেনেই ড. ইউনূসের বিচার কাজ চলছে।
তিনি বলেন, দেশের অন্য যে কোনো নাগরিকের মতো আইনের দৃষ্টিতে তার বিচার হবে। তার বিরুদ্ধে ট্যাক্স না দেওয়ার মামলা রয়েছে। ১০৮ জন শ্রমিক ব্যক্তিগতভাবে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। একটি মামলায় তিনি আপিল বিভাগ পর্যন্ত গিয়ে হারার পরে ট্যাক্স দিয়েছেন।
আনিসুল হক বলেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশসহ পশ্চিমা দেশগুলো গুরুত্বপূর্ণ মামলা হিসেবে বিবেচনা করে৷ ঠিক সেভাবেই ড. ইউনূসের মামলা পরিচালিত হচ্ছে।
ইউনূস ছাড়াও সংশোধিত শ্রম আইন, ডেটা প্রটেকশন আইন, এআই আইন, নির্বাচন কমিশন ও রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আনিসুল হক।
তিনি বলেন, আমরা কবে নাগাদ শ্রম আইন পাস করতে যাচ্ছি এসব তারা জানতে চেয়েছিল। আমি তাদের বলেছি- আন্তর্জাতিক শ্রম আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে যে নালিশ করা হয়েছিল সেই নালিশটার আমরা শেষ চাই। আমি তাদের বলেছি শ্রম আইন নিয়ে আমরা যথেষ্ট কাজ করেছি। শ্রম আইন সংশোধন নিয়েও কাজ করছি। আমার মনে হয় বিষয়টা শেষ করে দেওয়া উচিত। আগামী নভেম্বরে তাদের যে গভর্নিং বডির মিটিং হবে সেখানে আমাদের সমর্থন করার জন্য তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।